ওসি আহমেদ রাজিউর রহমান ও ব্যাংক ম্যানেজার মো. আয়েশ উদ্দিনকে সংশি¬ষ্ট নিয়ন্ত্রণকারি কর্তৃপক্ষ ছুটি দেয়ায় তারা নিজ নিজ কার্যালয়ে অনুপস্থিত ছিলেন। সোনালী ব্যাংক প্রধান শাখার কার্যালয়ে গাইবান্ধা চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের কর্মচারিকে মারপিট ও হত্যার চেষ্টার অভিযোগে গত রোববার ওই দুই কর্মকর্তাসহ অপর ৮ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন বিচারক গাইবান্ধার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট এসএম তাসনিকুল হক।
গত ২ জুন বৃহস্পতিবার সোনালী ব্যাংক অভ্যন্তরে ওই ঘটনা ঘটলে জেলা পুলিশ বিভাগের পক্ষ থেকে ঘটনার সাথে জড়িত এসআই রাকিব হোসেন ও এএসআই আইয়ুব হোসেনসহ অপর ৬ পুলিশ সদস্যকে পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়। এছাড়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ফারুক হোসেনকে প্রধান করে ওই ঘটনায় পুলিশের জড়িত থাকার বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য ৩ সদস্যের একটি অভ্যন্তরীন প্রশাসনিক তদন্ত টিম গঠন করা হয়। কমিটির অন্য দুই সদস্য হচ্ছেন সহকারি পুলিশ সুপার (এ সার্কেল) মোহাম্মদ ফকরুজ্জামান জুয়েল ও ডিআইও-১ মাহবুব উল আলম। ২৪ ঘন্টার মধ্যে পুলিশ সুপার মো. আশরাফুল ইসলামের কাছে তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করেন ওই কমিটি।
এদিকে অভিযুক্ত ১০ জনের বিরুদ্ধে আদালত থেকে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হলেও গতকাল সোমবার পর্যন্ত তাদের গ্রেফতার বা বিচারকের কাছে কোন রিপোর্ট দাখিল করা হয়নি।
উলে¬খ্য, গত ২ জুলাই চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের কমল চৌধুরীসহ ৩ জন কর্মচারি আদালতের বিচারক ও কর্মচারিদের বেতনের চেক নিয়ে সোনালী ব্যাংক গাইবান্ধা শাখায় টাকা উত্তোলনের জন্য যান। এসময় সেখানে কর্তব্যরত পুলিশের সাথে আদালতের ওই ৩ তিন কর্মচারির বাকবিতন্ডার ঘটনা ঘটে। এরই একপর্যায়ে পুলিশ সদস্যরা ওই কর্মচারিদের ব্যাংক ম্যানেজারের কক্ষে আটক করে তাদেরকে বেধড়ক মারপিট করে বলে অভিযোগ করা হয়।
এঘটনায় চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের আহত কর্মচারি কমল চৌধুরী বাদী হয়ে রোববার গাইবান্ধার আমলী আদালতে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করলে গাইবান্ধার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট এসএম তাসনিকুল হক অভিযোগ আমলে নিয়ে ওই অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা ও তাদের অন্যান্য সদস্য এবং ব্যাংক ম্যানেজারসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি এবং এব্যাপারে রিপোর্ট দাখিল করার জন্য পুলিশের প্রতি আদেশ প্রদান করেন