Connect with us

গাইবান্ধা

গাইবান্ধার নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত, ব্যাপক নদী ভাঙ্গন

Published

on

Sundargonj Picture 21-07-2016 2গাইবান্ধা প্রতিনিধি: অবিরাম বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পানির ঢলে গাইবান্ধা জেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা, করতোয়, ঘাঘট নদীর পানি বৃদ্ধি শনিবারও অব্যাহত ছিল। শুধু ব্রহ্মপুত্র নদীতেই গত ২৪ ঘন্টায় ২৭ সে. মি. পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত সবকটি নদ-নদীর পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এতে করে বন্যা জেলার সাঘাটা, ফুলছড়ি, সুন্দরগঞ্জ ও সদর উপজেলার নদী তীরবর্তী ২২টি ইউনিয়নের ৭০টি গ্রামের ২০ হাজার পরিবারের ২ লাখ ৪০ হাজার বন্যা কবলিত মানুষকে দুর্ভোগ পেহাতে হচ্ছে। ক্রমাগত বৃষ্টি আর বন্যা পানি দুর্ভোগ ক্রমেই বাড়ছে। পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে বন্যা কবলিত এলাকাগুলোতে নদী ভাঙ্গনের তীব্রতাও বেড়েছে। এছাড়া বন্যায় পাট, পটল, রোপা আমনের বীজতলার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
সাঘাটা উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের কানাইপাড়া, হলদিয়া, নলছিয়া, পাতিলবাড়ি, গুয়াবাড়ি, কুমারপাড়া, দিঘলকান্দি গ্রামে বন্যা কবলিত হয়েছে। এই উপজেলার ঘুড়িদহ ইউনিয়নের চিনিরপটল, চকপাড়া, পবনতাইড়, সাঘাটা সদর ইউনিয়নের হাটবাড়ি, হাসিলকান্দি, মুন্সিরহাটখোলা, গোবিন্দি গ্রামের লোকজনও পানিবন্দী হয়েছে।
ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের সাতারকান্দি, পূর্ব কঞ্চিপাড়া, উড়িয়ার কালাসোনার চর, কাবিলপুর, রতনপুর, গজারিয়ার গলনা, নামাপাড়া, জিয়াডাঙ্গা, ফজলুপুর, নিশ্চিন্তপুর, বাজে তেলকুপি, পূর্ব খাটিয়ামারি, পশ্চিম খাটিয়ামারি এবং এরেন্ডাবাড়ির বুলবুুলির চর, ভাটিয়াপাড়া, পূর্ব হরিচন্ডি ও পশ্চিম হরিচন্ডি গ্রাম এখন বন্যা কবলিত।
সদর উপজেলার কামারজানি ইউনিয়নে কুন্দেরপাড়া, মোল¬ারচর ইউনিয়নের অধিকাংশ গ্রামের মানুষ এবং গিদারী ও ল²ীপুর ইউনিয়নের কিছু কিছু এলাকায় বন্যার পানি প্রবেশ করছে।
এছাড়া সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কাপাসিয়া, হরিপুর, চন্ডিপুর, তারাপুর, বেলকা ইউনিয়েন ৪০টি গ্রামে বন্যা কবলিত হয়েছে। ফুলছড়ি উপজেলার অধিকাংশ এলাকা বন্যা কবলিত হয়েছে।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *