Connect with us

বিচিত্র সংবাদ

গাড়ি ফেলে যায়, খোঁজও নেয় না

Published

on

file (5)

সাজানো গোছানো শহর। পরিপাটি সবকিছু। সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রাণ দুবাই তো এমনই হওয়ার কথা। কিন্তু না, স্বস্তিতে নেই দুবাই মিনিউসিপালিটি কর্তৃপক্ষ। নাগরিকরা কথা শুনছে না তাদের! নোটিশের পর নোটিশ দিয়েও কাজ হচ্ছে না। যত্রতত্র গাড়ি ফেলে রেখে যাবেন না; এমন আহ্বান জানানোর পরও সাড়া মিলছে না।

বিশ্বের সব বড় শহরের মতোই সকল ধরনের সুবিধা রয়েছে দুবাইয়ে। নগর কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে সবসময় সতর্ক। নাগরিকদের সামান্যতম বিঘ্ন হোক তা তারা পছন্দ করে না। এ জন্য কর্তৃপক্ষ সদাপ্রস্তুত থাকে বলা হয়। একটা বিষয়ে তাদের পরামর্শ বা নোটিশেও কর্ণপাত করছে না শহরবাসী। তা নিয়ে বেশ চিন্তিত তারা!

দুবাইয়ের বেশীর ভাগ নাগরিক গাড়ি ব্যবহার করেন। কিন্তু পরিচ্ছন্ন শহরের জন্য তাদের গাড়ি ঝামেলার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। অনেকে আছেন পাবলিক প্লেস, পার্ক বা যেখানে মন চায় গাড়ি রেখে চলে যান। ফেলে আসার পর গাড়ির খোঁজ রাখারও প্রয়োজন মনে করেন না তারা। এটাই নগর কর্তৃপক্ষের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এতে শুধু শহরে ঝঞ্ঝাট নয়, যাতায়াতের সমস্যাও তৈরী হয়।

প্রতিমাসের মতো গত আগস্ট মাসেও নাগরিকদের ফেলে যাওয়া গাড়ি জব্দ করেছে দুবাই মিনিউনিসিপালিটি। নগর কর্তৃপক্ষের হিসাবে ২ হাজার ১০০ গাড়ি জব্দ করেছে তারা। এগুলো জব্দের আগে গাড়ির মালিকদের নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তাতে কর্ণপাত করেননি তারা। গাড়ি জব্দের আগে জানানো হয়, ৩ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে যদি তা সরিয়ে নেওয়া না হয় বা জরিমানার অর্থ না দেওয়া হয় তবে পুলিশ তা জব্দ করে। জব্দ করা গাড়িগুলো নিলামে তোলা হয় ৬ মাস পর।

ডিরেক্টর অব দ্য মিনিউসিপালিটিস ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্টের আব্দুল মাজিদ সাইফেয়ে এ বিষয়ে বলেছেন, ‘কেন আমরা গাড়িগুলো জব্দ করি। যখন দেখা যায় এগুলো শহরের নিরাপত্তায় বিঘ্ন, আর্বজনা বৃদ্ধি ও হাঁটাচলায় বাধা সৃষ্টি করে। কী আশ্চর্য, নাগরিকরা এটাই করছে।’

বাংলাদেশেরপত্র/এডি/আর

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *