আন্তর্জাতিক
গ্রিসে নতুন অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার পরিকল্পনা প্রশ্নে এমপিদের ভোটভুটি
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গ্রিসের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী অ্যালেক্সিস সিপ্রাসের কঠোর নতুন প্রস্তাবের প্রতি সমর্থন প্রশ্নে আজ শুক্রবার দিনশেষে এমপি’রা ভোটাভুটিতে অংশ নেবেন।
গ্রিসের অর্থনৈতিক ধস এবং ইউরোজোন থেকে সম্ভাব্য বেরিয়ে যাওয়া ঠেকাতে নতুন এ প্রস্তাব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী সিপ্রাস। রোববার ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পূর্ণাঙ্গ সম্মেলনের আগে ইউরোজোনের অর্থমন্ত্রীরা নতুন এ প্রস্তাব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবেন। প্রস্তাবে পেনশন হ্রাস ও কর বৃদ্ধির বিষয়টি অন্তর্ভূক্ত রয়েছে।
সিপ্রাসের নিজের সিরিজ পার্টির মধ্যে বামপন্থীরা নতুন এ প্রস্তাবের বিরোধিতা করলেও পার্লামেন্টে তা অনুমোদন হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।সিরিজা পার্টির পার্লামেন্টারি মুখপাত্র নিকোস ফিলিস বলেছেন, নতুন অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার (বেলআউট) প্যাকেজ নিয়ে আলোচনার জন্য পার্লামেন্ট সরকারকে ম্যান্ডেট দেবে বলে তিনি দৃঢ়ভাবে আশাবাদী। পার্লামেন্টের ৩শ’ আসনের মধ্যে ১৬২ আসন রয়েছে জোট সরকারের। এছাড়া অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার প্রশ্নে বিরোধী অনেক এমপি’রও সমর্থন রয়েছে সরকারের প্রতি।
গ্রিসের আন্তর্জাতিক ঋণদাতা ইউরোপীয় কমিশন, ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল গত বৃহস্পতিবারের মধ্যে নতুন প্রস্তাব দেয়ার সময়সীমা বেঁধে দেয়। গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী সিপ্রাস এরপর তিন ঋণদাতার কাছে নতুন প্রস্তাব দেন।
গ্রিসের গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, নতুন প্রস্তাবে শিপিং কোম্পানির ওপর কর বৃদ্ধি, রেস্তোরাঁ ও ক্যাটারিং সার্ভিসসহ সবকিছুর ওপর ভ্যাটের হার সমান করে ২৩ শতাংশ করা ও ২০১৬ সাল নাগাদ প্রতিরক্ষা ব্যয় ৩০ কোটি কাটছাঁট করা প্রভৃতি রয়েছে।
গ্রিসের জ্বালানি মন্ত্রী প্যানাজিওটিস লাফাজানিস বৃহস্পতিবার বেলআউটে একমত না হতে সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, রোববারের গণভোটে না ভোট দেয়ার মাধ্যমে গ্রিসের জনগণ আন্তর্জাতিক ঋণদাতাদের শর্ত প্রত্যাখান করেছে।
এদিকে এথেন্সে শুক্রবার নতুন বেলআউটের শর্তের সমর্থন ও বিরুদ্ধে আবারো সমাবেশ করার কথা রয়েছে। সিপ্রাস প্রণীত নতুন প্রস্তাবের ব্যাপারে আন্তর্জাতিক ঋণদাতারা তাৎক্ষণিকভাবে কোন প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
শুক্রবার কারিগরি পর্যায়ে পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হবে। এরপর শনিবার ব্রাসেলসে ইউরোজোনের অর্থমন্ত্রীরা বৈঠক করবেন। শনিবার বিকেলে ইউরোপীয় নেতারা আবারো বসবেন। এর দুই ঘন্টা পর ইইউ’র পূর্ণাঙ্গ সম্মেলন হবে।
গ্রিসের ঋণ সংকট নিয়ে গত কয়েক মাস ধরে ইইউ’র সঙ্গে দেশটির অচলাবস্থা চলছে। ইউরাপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টাস্ক পরিস্থিতিকে ইইউ’র ইতিহাসে সম্ভবত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত বলে উল্লেখ করেছেন।