Connect with us

গাইবান্ধা

গ্রীষ্মের তীব্র দাবদাহে এবং রমজানে গাইবান্ধায় বিদ্যুৎ বিভ্রাটে জনদূর্ভোগ চরমে

Published

on

নিজস্ব সংবাদদাতা, গাইবান্ধা: গ্রীষ্মের এই তীব্র তাপদাহে রমজান শুরু হওয়ার দিন থেকেই গাইবান্ধায় লোডশেডিং ও বিদ্যুৎ বিভ্রাটে জনদূর্ভোগ চরমে পৌছেছে। শনিবার সামান্য বৃষ্টি বাতাসেই সকাল ৭টা থেকে দুপুর ১২টা ১০ মিনিট পর্যন্ত একটানা ৫ ঘন্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকে। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলগুলোতে সিহারি এবং ইফতার এবং তারাবি নামাজের সময়টিতে ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাট হওয়ায় রোজাদারদের চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়।
এদিকে আকাশে মেঘ জমলে এবং সামান্য বৃষ্টি বাতাসেই গাইবান্ধায় বিদ্যুৎ উধাও হয়ে যায়। আবার সে বিদ্যুত কমপক্ষে দু’ থেকে তিন ঘন্টা পর আসে। আর রাতে এ সমস্যা দেখা দিলে বিদ্যুৎ ফিরে আসে পরদিন সকালে। এভাবেই গ্রীষ্মের তীব্র দাবদাহে লোডশেডিং ও বিদ্যুৎ বিভ্রাটে গাইবান্ধাবাসিকে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। রমজান মাসে তা আরও বেড়েছে।
ইরি-বোরো মৌসুমে এই বিদ্যুৎ বিভ্রাট শুরু হলেও ইরি-বোরো মৌসুম শেষেও এখন পর্যন্ত নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে সক্ষম হচ্ছে না গাইবান্ধা বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগ। স্বাভাবিক অবস্থাতেও প্রতিদিন দিনে এবং রাতে শুধু শহর এলাকাতেই ৪ থেকে ৫ বার ১ থেকে ৩ ঘন্টা লোডশেডিং জনিত বিদ্যুৎ বিভ্রাট সংঘটিত হচ্ছে। এছাড়া মেঘ-বৃষ্টি-ঝড়ে ৩ থেকে ৪ ঘন্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘিœত হচ্ছে। পল­ী বিদ্যুৎ সমিতির আওতাধীন গ্রামগুলোতে বিদ্যুৎ সংকট আরও মারাত্মক। দিনে এবং রাতে লোডশেডিং জনিত বিদ্যুৎ বিভ্রাটের পরিমাণ আরও বেশি বলে জানা গেছে। বিদ্যুৎ বিভাগের আওতাধীন লক্ষ্মীপুর এবং বালাসীঘাট ফিডারটি অনেক বড় হওয়ায় ওই ফিডারভুক্ত গ্রামগুলোতে বিদ্যুৎ বিভ্রাট অত্যান্ত বেশী।
গাইবান্ধা বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগ সুত্রে জানা গেছে, জেলায় বিদ্যুতের চাহিদা ২২ থেকে ২৪ মেগাওয়াট। কিন্তু সেখানে পলাশবাড়ির গ্রিড লাইন থেকে দিনে ১৬ থেকে ১৭ মেগাওয়াট এবং রাতে বিশেষ করে পিক আওয়ারে ১২ থেকে ১৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। ফলে সংগত কারণেই গ্রামগুলোতে লোডশেডিং করে শহর এলাকায় লোডশেডিংয়ের মাধ্যমে ঘাটতির সময়গুলোতে বিদ্যুৎ সরবরাহ অব্যাহত রাখা হচ্ছে। গাইবান্ধা জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নতি কবে নাগাদ হবে এব্যাপারে গাইবান্ধা বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগও নিশ্চিত তা বলতে পারে না।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *