চট্রগ্রাম
চট্টগ্রামে শ্রমিক নেতা ও বন্দর কর্মকর্তাদের সঙ্গে নৌ মন্ত্রীর বৈঠক সম্পন্ন
রুমেন চৌধুরী, চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : চট্টগ্রাম বন্দরের রেস্ট হাউজে জেলার পরিবহন শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক সম্পন্ন করেছেন নৌ মন্ত্রী শাহজান খান। ১৬ আগস্ট রোববার এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান জানিয়েছেন, চট্টগ্রামের সড়ক-মহাসড়কে সেতুতে বর্ধিত টোল কমানোর সিদ্ধান্ত চলতি মাসের মধ্যে নেয়া হবে।
বৈঠক শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, সেতুর টোল বাড়ানোর পর বিভিন্ন দিক থেকে বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। এ বিষয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুলের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। মন্ত্রী নিজেও এ সেতুর টোল কমানোর বিষয়টি বিবেচনায় রেখেছেন এবং অাগামী ২১ আগস্ট সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রীর সঙ্গে এ বিষয়ে বৈঠকে বসবেন তিনি। এ সময় তিনি অাশা প্রকাশ করেন, চলতি মাসের মধ্যে টোল কমানোর সিদ্ধান্তটি আসবেই। আর এসব বিষয়ে কর্মকর্তাদের গুরুত্বপূর্ণ মতামত নেবার জন্যই বৈঠকের আহ্বান করা হয়েছে বলেও নৌ মন্ত্রী জানিয়েছেন। কর্ণফুলীতে ঝুলে থাকা ক্যাপিটার ড্রেজিং প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে আদালতে মামলা বিচারাধীন আছে। আদালতের কোন সিদ্ধান্ত না পাওয়া পর্যন্ত আমরা এগুতে পারবোনা বলে তিনি উল্লেখ করেন।
শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর নৌ পরিবহন মন্ত্রী চট্টগ্রাম বন্দরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেছেন। এ বৈঠক সম্পর্কে নৌ মন্ত্রী জানিয়েছেন, সম্প্রতি একনেকের সভায় চট্টগ্রাম বন্দরে যন্ত্রপাতি ক্রয় করার জন্য ২৪৮ কোটি টাকা দেয়া হয়েছে। সেই টাকা দিয়ে ২০টি ড্রেজার আর ১০টি নতুন গ্যান্ট্রি ক্রেন কেনা হবে। পুরনো যন্ত্রপাতির বদলে আরও নতুন নতুন যন্ত্রপাতি বন্দরে আনা হবে।
তথ্য অনুযায়ী জানা গেছে, ২০১৪ সালের ২৪ মার্চ মন্ত্রিসভায় টোল নীতিমালা অনুমোদনের পর সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের অধীন ৫১টি সেতু, ৪৫টি ফেরিঘাট ও ৩টি মহাসড়কের সেতুতে বর্ধিত টোল আদায়ের সিদ্ধান্তে অাসে সরকার। ২০১৫ অর্থবছরে ১১ জানুয়ারি থেকে পর্যায়ক্রমে এসব সেতুতে অভিন্ন টোল কার্যকর করা হয়েছে। উল্লেখ্য, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান হলেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের প্রধান কার্যকরী সভাপতি।
বাংলাদেশেরপত্র/এডি/আর