আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বাংলাদেশ সফরে সম্পন্ন করা চুক্তিগুলো বাস্তবায়নের তাগিদ দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গত রবিবার রাতে ঢাকা সফর শেষে দিল্লি ফেরার পথে বিশেষ বিমানেই বাংলাদেশ প্রসঙ্গে জরুরি বৈঠকে এ তাগিদ দেন মোদী।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশেষ বিমানের বৈঠকে ছিলেন পররাষ্ট্র সচিব এস জয়শঙ্কর, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, প্রধানমন্ত্রীর প্রিন্সিপ্যাল সেক্রেটারি নৃপেন্দ্র মিশ্র। বৈঠকে মোদী নির্দেশ দিয়েছেন, বাংলাদেশ সফর শেষ হয়েছে মানেই কাজ শেষ হয়েছে এমন নয়। প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে যে দশটি চুক্তি হয়েছে, তার কাজ এখন থেকেই শুরু করে দিতে হবে।
ইতোমধ্যে ছিটমহল বিনিময়ের কাজ জুলাইয়ের মধ্যে বাস্তবায়িত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। পাশাপাশি সীমান্তে বেড়া লাগানোর কাজও শেষ করে ফেলতে চাইছে ভারত। স্থল সীমান্তের পাশাপাশি তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি স্বাক্ষর নিয়ে জটও খুলতে তত্পর হয়েছে দিল্লি। এজন্য পশ্চিমবঙ্গ ও কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি ঘরোয়া কমিটি গঠন করা হচ্ছে। যেখানে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে অজিত ডোভাল ও নৃপেন্দ্র মিশ্র এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রতিনিধিরা থাকবেন। ওই কমিটিতে সিকিম সরকারের প্রতিনিধিদেরও রাখার বিষয়ে ভাবা হয়েছে। এর পাশাপাশি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা গওহর রিজভীর সঙ্গে ঘরোয়া পর্যায়ে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তও নিয়েছে ভারত। এর উদ্দেশ্য হলো শেখ হাসিনার ভারত সফরের আগেই বিষয়টি মীমাংসা করে ফেলা।
এদিকে সন্ত্রাস দমনে হাসিনার ভূমিকা নিয়ে মোদীর মন্তব্যকে ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক। বাংলাদেশ সফরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানে মোদী বলেছিলেন, আমি খুশি যে শেখ হাসিনা এক জন নারী হয়েও সন্ত্রাস দমনের প্রশ্নে জিরো টলারেন্সের ঘোষণা দিয়েছেন। মোদীর ওই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে কংগ্রেসই শুধু নয়, সমালোচনা শুরু হয়েছে বিভিন্ন মহলে। অভিযোগ উঠেছে, প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলে মহিলাদের খাটো করেছেন। বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক শুরু হওয়ায় মুখ খুলেছে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়। তারা জানিয়েছে, আসলে মহিলাদের হয়েই বলতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। একজন নারী কত ধরনের প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে জীবন যুদ্ধে এগিয়ে যান তা বোঝাতেই ওই মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী।