ঝিনাইদহ
ছাত্র সেজে ট্রাক ড্রাইভারের প্রতারণা: ঝিনাইদহের স্কুল ছাত্রী মিমির লাশ ঢাকায় উদ্ধার
মনিরুজ্জামান সুমন,ঝিনাইদহ:
নিখোঁজ হওয়ার চারদিন পর ঝিনাইদহ সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেনীর মেধাবী ছাত্রী সাদিয়া সুলতানা মিমির (১৪) লাশ ঢাকার আদাবর থানার একটি টিনসেড বাড়ি থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ মিমির বান্ধবী রুম্পা খাতুনের স্বামী শহরের কোরাপাড়া গ্রামের সাইফুল ও রাজশাহী এলাকার ট্রাক ড্রাইভার হানিফকে পুলিশ আটক করেছে। স্কুল ছাত্রী মিমি ঝিনাইদহ ঝিনাইদহ শহরের কাঞ্চন নগর মডার্ন পাড়ার ইমামুল হক ইমুর মেয়ে। এদিকে মেধাবী ছাত্রী মিমির লাশ পাওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে তার সহপাঠীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে। মিমির এ ভাবে চলে যাওয়া তার বান্ধবী ও স্কুলের ছাত্রীরা মেনে নিতে পারছে না। খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার বিকালে ঝিনাইদহ সরকারী বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজগার আলী মিমির বাড়িতে গিয়ে তার পিতামাতাকে শান্তনা দেন। মিমির পিতা ইমমুল হক সাংবাদিকদের জানান, গত শনিবার সকালে মিমি স্কুলে যাবার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর সে বাড়িতে ফিরে আসেনি। অনেক খোজাখুজির পর তাকে না পেয়ে ঝিনাইদহ সদর থানায় জিডি করা হয়। মিমির বাবা জানান বুধবার বাড়িতে খবর আসে ঢাকার আদাবর থানা এলাকায় মিমির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি অভিযোগ করেন আমার মেয়েকে অপহরণ করে ঢাকায় নিয়ে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে। তিনি তার মেয়ের হত্যাকারীদের বিচারের দাবী জানান।
বিভিন্ন সুত্রে জানা গেছে, মোবাইলের সুত্র ধরে রাজশাহীর মতিহার উপজেলার কাপাশিয়া গ্রামের ট্রাক ড্রাইভার হানিফের সাথে পরিচয় ঘটে মিমির। প্রতারক হানিফ গাড়ির চালক হলেও নিজেকে ঝিনাইদহ পলিটেকনিক কলেজের ছাত্র পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করে। মিমি ও হানিফ কুষ্টিয়া ও ঈশ্বরদী এলাকায় পালিয়ে ছিল। সেখানে বিয়ে শেষ করে তারা মঙ্গলবার ঢাকায় চলে যায়। ঢাকায় গিয়ে মিমি জানতে পারে হানিফ পেশায় একজন ট্রাক ড্রাইভার ও তার আরো দুইটি বউ আছে। মিমিকে হত্যা করা হয়েছে নাকি অপমান হতাশায় আত্মহত্যা করেছে তা ব্যাপক তদন্ত ছাড়া বোঝা যাচ্ছে না। এদিকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মিমির লাশ ঢাকা থেকে ঝিনাইদহ শহরের মডার্নপাড়ায় পৌছালে তার স্বজনরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে।