ঢাকা
জনি হত্যা : ওসিসহ ৫ পুলিশকে অব্যাহতি
নিজস্ব প্রতিনিধি : জনিকে থানায় নিয়ে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগে পল্লবী থানার ওসি জিয়াউর রহমানসহ পাঁচজনকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে এএসআই রাশেদুল, কামরুজ্জামান মিন্টু, পুলিশের সোর্স সুমন ও রাশেদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। সোমবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লা অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে পল্লবী থানার ওসি জিয়াউর রহমানসহ পাঁচজনকে অব্যাহতি দেন। গ্রেফতারি পরোয়ানা সংক্রান্ত অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ১৩ আগস্ট দিন ধার্য করেন আদালত।
অব্যাহতি প্রাপ্তরা হলেন, পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউর রহমান, পল্লবী থানার এসআই আবদুল বাতেন, এসআই রাশেদ, এসআই শোভন কুমার শাহা ও কনস্টেবল নজরুল।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি মিরপুর ১১নং সেক্টরে সাদেকের ছেলের গায়ে হলুদ অনুষ্ঠান চলাকালে পুলিশের সোর্স সুমন অনুষ্ঠানে নারীদের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি করতে থাকে। জনি ও তার ভাই সুমনকে বু্ঝিয়ে চলে যেতে বলেন। সুমন চলে গেলেও পরের দিন এসে আবার আগের মতো আচরণ করতে থাকেন। তখন জনি ও তার ভাই তাকে চলে যেতে বললে সুমন পু্লশিকে ফোন করে তাদের ধরে নিয়ে যান। তাদের নিয়ে যাওয়ার সময় এলাকার লোকজন ধাওয়া দিলে পুলিশ গুলি ছুড়তে ছুড়তে চলে যায়। পরে তাদের থানায় নিয়ে অমানবিক নির্যাতন করা হয়। জনির অবস্থা খারাপ হলে তাকে ন্যাশনাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থা আরো খারাপ হলে জনির মা তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় ২০১৪ সালের ৭ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে নিহত জনির ছোট ভাই ইমতিয়াজ হোসেন রকি পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউর রহমানসহ আটজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
অপর আসামিরা হলেন— তৎকালীন পল্লবী থানার এসআই জাহিদুর রহমান জাহিদ, পল্লবী থানার এসআই আবদুল বাতেন, এসআই রাশেদ, এসআই শোভন কুমার শাহা, পুলিশ কনস্টেবল নজরুল, সোর্স সুমন ও রাসেল।
২০১৫ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মহানগর হাকিম মারুফ হোসেন পাঁচজনকে অভিযুক্ত এবং পাঁচজনকে অব্যাহতির সুপারিশ করে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। তদন্তকালে পুলিশের এএসআই রাশেদুল ও কামরুজ্জামান মিন্টুকে নতুন করে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
অব্যাহতির সুপারিশ করা পাঁচ আসামি হলেন— পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউর রহমান, পল্লবী থানার এসআই আবদুল বাতেন, এসআই রাশেদ, এসআই শোভন কুমার শাহা, পুলিশ কনস্টেবল নজরুল।
অভিযুক্ত পাঁচ আসামির মধ্যে রয়েছেন— তৎকালীন পল্লবী থানার এসআই জাহিদুর রহমান জাহিদ, পল্লবী থানার এএসআই রাশেদুল, কামরুজ্জামান মিন্টু, সুমন ও রাশেদ।