জাতীয়
জাতীয় প্রেসক্লাবের বর্তমান কমিটির কার্যক্রমে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা
জাতীয় প্রেসক্লাবের বর্তমান কমিটির কার্যক্রমের ওপর অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার দুপুরে বিচারপতি শরিফ উদ্দিন চাকলাদারের একক বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী।
গতকাল বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সর্বশেষ নির্বাচিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ বর্তমান কমিটির বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করেন। এতে বর্তমান কমিটির সভাপতি-সম্পাদকসহ ১১ জনকে বিবাদী করা হয়।
এর আগে গত ১০ জুন জাতীয় প্রেসক্লাবের নতুন কমিটির কার্যক্রমকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, সে মর্মে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছিলেন ঢাকার একটি বিশেষ আদালত।
গত ২৮ মে আওয়ামী লীগপন্থি সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ ও বিএনপিপন্থি সাংবাদিক নেতাদের একাংশের উদ্যোগে সমঝোতার মাধ্যমে মুহাম্মদ শফিকুর রহমানকে সভাপতি এবং কামরুল ইসলাম চৌধুরীকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি গঠিত হয়। সহ-সভাপতি মনোনীত হন মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল ও আমিরুল ইসলাম কাগজী।
যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক পদে মনোনীত করা হয় আশরাফ আলী ও ইলিয়াস খানকে। আর কোষাধ্যক্ষ পদে মনোনীত হন কার্তিক চ্যাটার্জি।
সদস্য পদে আমানুল্লাহ কবীর, খন্দকার মনিরুল আলম, আজিজুল ইসলাম ভূইঞা, সাইফুল আলম, মোল্লা জালাল, শ্যামল দত্ত, শামসুদ্দিন আহমেদ চারু, সরদার ফরিদ আহমাদ, শামসুল হক দূররানী এবং হাসান আরেফিনকে মনোনীত করা হয়।
গঠনতন্ত্র অনুযায়ী দুই বছর পর পর জাতীয় প্রেসক্লাবে নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও গত ৩১ ডিসেম্বর কামাল উদ্দিন সবুজ ও সৈয়দ আবদাল আহমদের নেতৃত্বাধীন কমিটির মেয়াদ শেষ হলেও নির্বাচন নিয়ে জটিলতা দেখা দেয় । তফসিল হলেও নির্বাচন পরিচালনা কমিটি `পরিবেশ নেই` বলে দায়িত্ব পালনে অপারগতা জানায়। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থক সাংবাদিকদের একাংশ বৈঠক করে সমঝোতার কমিটি গঠন করে।
বাংলাদেশেরপত্র/এডি/এ