Connect with us

ঝিনাইদহ

ঝিনাইদহে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষনের পর হত্যার অভিযোগ

Published

on

dorson ধর্ষন

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হীরাডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী নাজনীন খাতুনকে (১৩) পাশবিক নির্যাতনের পর হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার সন্ধ্যায় নাজনিনের লাশ গ্রামের মাঠ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। সে ওই গ্রামের মশিয়ার রহমান ওরফে তাহাজের মেয়ে। এ ঘটনায় নিহতের পিতা বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার ধর্ষক জহির উদ্দীনসহ পাঁচজনের নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
ঘটনার পর থেকেই ধর্ষক জহির পলাতক রয়েছে। নিহতের চাচি সেলিনা খাতুন জানান, বুধবার দুপুর ২টার দিকে হীরাডাঙ্গা গ্রামের পাশ্ববর্তি বাড়ির একটি কক্ষে নাজীননকে ফুসলিয়ে নিয়ে যায় একই গ্রামের দরাপ আলী ওফে দুখের ছেলে লম্পট জহির। নাজনিনকে পাশবিক নির্যাতন করে সে পালিয়ে যায়। তবে গ্রামের কেও কেও জহিরকে দ্রুত পালিয়ে যেতেও দেখেছে।
এ ঘটনার পর থেকে নাজনিনও নিখোঁজ ছিল। পরিবারের লোকেরা খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে সন্ধ্যার দিকে বাড়ির পাশে একটি গাছে ওড়না পেঁচানো অবস্থায় নাজনীনকে অবস্থায় দেখতে পায়। পরিবারের লোকজন ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরিবারের ধারণা ধর্ষনের ঘটনা ফাঁস করে দেওয়ার করণেই হয়তো নাজনিনকে হত্যা করা হয়।
এদিকে ধর্ষক জহিরের পরিবার সামাজিক ভাবে স্থানীয় প্রভাবশালীদের লোক হওয়ায় ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। ধর্ষন ও ময়না তদন্তের রিপোর্ট ভিন্নখাতে নেওয়ার জন্য প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে বলেও মামলার বাদী অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সদর থানার এসআই মঞ্জুরুল হাসান জানান, ধারণা করা হচ্ছে তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে।  তবে সুরতহাল রিপোর্টের পর বোঝা যাবে। তিনি আরও জানান, এ ঘটনার পর অভিযুক্ত জহিরসহ তার পরিবারের লোকজন পলাতক রয়েছে।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *