আন্তর্জাতিক
টাইফুনের আশঙ্কায় ফিলিপাইন ও তাইওয়ানের লোকজন পালাচ্ছে
ফিলিপাইনের উত্তরাঞ্চলের দিকে টাইফুন নোল অগ্রসর হওয়ায় ২ হাজারের বেশি লোক তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছে। ঝড়ের প্রভাবে আকস্মিক বন্যা, ভূমিধস ও সুনামি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সরকারের আবহাওয়া পর্যবেক্ষণকারী বিভাগের প্রধান এসপোরাঞ্জা কায়ানান বলেন, ঝড়টি ধীরে ধীরে অগ্রসর হলেও ঝড়টি শক্তিশালী হয়ে ঘন্টায় ২২০ কিলোমিটার (১৩৭মাইল) বেগে বইছে।
রোববার বিকেল বা সন্ধ্যা নাগাদ দেশটির প্রধান দ্বীপ লুজন দ্বীপের উত্তর উপকূলে আঘাত হানতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এদিকে তাইওয়ান কর্তৃপক্ষ সমুদ্রে শক্তিশালী বাতাস ও উঁচু ঢেউয়ের ব্যাপারে নাবিক ও জেলেদের সতর্ক করেছে এবং দ্বীপটির দক্ষিণপূর্ব উপকূলের অদূরে অবস্থিত একটি দ্বীপ থেকে প্রায় প্রায় এক হাজার পর্যটককে সরিয়ে এনেছে। দ্বীপটির ওপর দিয়েও ঝড়টি বয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
কায়ানান বলেন, দিনের শেষে ফিলিপাইনের উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশ কাগায়ানে টাইফুনটি আঘাত হানার পর এর ভয়াবহতা বোঝা যাবে। সমুদ্র আবহাওয়া বিভাগের প্রধান রেনে প্যাসিন্তে বলেন, ‘এটা অত্যন্ত বিপজ্জনক ঝড়। এটা চলতি বছরের এখন পর্যন্ত সবচেয়ে শক্তিশালী ঝড়।’ বেসামরিক প্রতিরক্ষা বিভাগের প্রধান নর্মা তালোসিগ বলেন, উপকূলীয় গ্রামগুলো থেকে ২ হাজারের বেশি লোককে অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হেেচ্ছ।
এই নারী কর্মকর্তা আরো বলেন, ‘তাদের গ্রামে নয়, গ্রামের বাইরে উঁচু স্থানে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। স্থানীয় সরকার তাদের সহায়তা করছে। এমনটি তাদের সহায়তায় অ্যাম্বুল্যান্স মোতায়েন করা হচ্ছে।’
শক্তিশালী টাইফুনের প্রভাবে সুনামির মতো বড় ঢেউয়ের সৃষ্টি হয়। ঝড়ের সময় এটিই এখন বড় উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০১৩ সালের নভেম্বরে ফিলিপাইনের মধ্যাঞ্চলে সুপার টাইফুন হাইয়ানের আঘাতে ৭ হাজার ৩৫০ জনের বেশি লোক প্রাণ হারিয়েছে বা নিখোঁজ হয়েছে। তাইওয়ানের এক সরকারি কর্মকর্তা জানান, দ্বীপটির নয়নাভিরাম গ্রিন আইল্যান্ড থেকে দুপুর নাগাদ প্রায় ১ হাজার পর্যটককে অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
এছাড়াও গ্রিন আইল্যান্ড ও অপর একটি পর্যটন কেন্দ্র অর্কিড আইল্যান্ডে সকল ফেরি চলাচল ও ফ্লাইট বাতিল করে দেয়া হয়েছে এবং উপকূলীয় এলাকা থেকে দূরে থাকার জন্য জনসাধারণের প্রতি অনুরোধ জানান হয়েছে।
খবর এএফপি’র।