বিবিধ
টোকিওর রাস্তায় কচ্ছপের প্রাতঃভ্রমণ!
রকমারি ডেস্ক:
কার্টুন চরিত্র গডজিলা যদি বাস্তবে নেমে আসে তবে কেমন হয়! এমনই এক অভিজ্ঞতা হয়েছে জাপানের টোকিওর বাসিন্দাদের। তবে সেটি কার্টুন চরিত্র গডজিলা নয় বাস্তবের বিশালাকার কচ্ছপ বো-চ্যান। সম্প্রতি এক বিরাটাকার সরীসৃপকে টোকিওর রাস্তায় ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায়। ৩ ফুট লম্বা আফ্রিকান কচ্ছপটির ওজন প্রায় ১৫০ পাউন্ড। কচ্ছপটি প্রায়ই টোকিওর সুকিশিমা জেলার এক রাস্তা দিয়ে তার মালিক হিসাও মিটানির সাথে হাঁটতে বের হয়। স্থানীয় একটি অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার দোকানের মালিক মিটানি বলেন: “আমার স্ত্রী কচ্ছপটিকে একটি দোকানে দেখে। কচ্ছপটিকে তার প্রচণ্ড মনে ধরে। তারপর সে সেটি কিনে নিয়ে আসে।” সে প্রায় ২০ বছর আগের ঘটনা। তখন বো-চ্যাংকে হাতের করতলের উপর রাখা যেত। তিনি বলেন: “আমি জানতাম কচ্ছপটি অনেক বড় হবে, কিন্তু এত বড় হবে তা ভাবিনি।” গডজিলার মত এটি পথচারীর চলাচল থামিয়ে দিতে পারে। অনেকেই তার কচ্ছপগতি দেখার জন্য ভিড় করে। খাওয়ার ব্যাপারে বো-চ্যান গাজর ও বাঁধাকপি খেতে পছন্দ করে। শিশুরা তাকে খাওয়ানোর জন্য তাড়াহুড়ো করলেও কচ্ছপটির কোন তাড়া দেখা যায় না। কচ্ছপটি মিটানির অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার বাড়ির একটি খোয়াড়ে থাকে। সেখানে আসা ভ্রমণকারীদের সে শুভেচ্ছা জানায়। বাড়িটিতে মৃত দেহ সৎকারে নিয়োজিত এক ব্যক্তি বলেন: “অনেকেই মনে করেন, সৎকার করার মত একটি জায়গাতে এত বড় কচ্ছপ রাখা অর্থহীন। কিন্তু যখন প্রিয়জন মারা যায়, তখন এই কচ্ছপটিকে দেখে মানুষ হাসে। সুতরাং আমার মনে হয়, তাকে রাখা কোন খারাপ বুদ্ধি নয়।” জাপানে কচ্ছপকে দীর্ঘায়ূর প্রতীক হিসেবে মনে করা হয়। স্থানীয় পুরাকথায় আছে তারা দশ হাজার বছর পর্যন্ত বাঁচতে পারে।