Connect with us

দেশজুড়ে

তাহিরপুরে কৃষকদের তরমুজ চাষে আগ্রহ বেড়েছে

Published

on

তাহিরপুর প্রতিনিধি:
তাহিরপুরে কৃষকদের তরমুজ চাষে আগ্রহ বেড়েছে, ফলন ভালো হওয়ায় দিন দিন তরমুজ চাষের দিকে কৃষক ঝুঁকে পড়েছে। জানা যায়, সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলায় গত এক দশক পূর্বেও কোনো কৃষক বাণিজ্যিকভাবে তরমুজ চাষাবাদ করতেন না। সম্প্রতি বছর তিনেক ধরে তাহিরপুরের বাদাঘাট ইউনিয়নের লামাশ্রম, বিন্নাকুলী, লাউড়েগড়, মোকশেদপুরসহ আশপাশের এলাকার হাতে গোনা কয়েক কৃষক তরমুজ চাষাবাদ করে ভালো ফলনে লাভবান হন। এ থেকেই বর্তমানে এখানকার অধিকাংশ কৃষক তরমুজ চাষে ঝুঁকে পড়েছে । তাহিরপুর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর উপজেলায় প্রায় ৪শ’ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সরেজমিনে ঐ সমস্ত এলাকায় গিয়ে দেখো যায়, অনেকেই তাদের ধানী জমিতে ধান চাষ না করে তরমুজ চাষাবাদ করছেন। এলাকার কৃষকরা জানান, বর্ষায় পাহাড়ি ঢলে জমিতে মাত্রাতিরিক্ত পলি-বালি পড়ে তাদের জমি ধান চাষের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সেই থেকে ঐ এলাকার কৃষকরা পলি-বালি পড়া জমিতে তরমুজ চাষাবাদ করছেন এবং বর্তমানে অধিক ফলনও পাচ্ছেন তারা।
লামাশ্রম গ্রামের কৃষক আবদুল রশিদ, বিন্নাকুলী গ্রামের আলম মিয়া জানান, বীজ বপন থেকে শুরু করে ফলন পর্যন্ত প্রতি একর জমি তরমুজ চাষাবাদে খরচ পরে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা আর তা থেকে লক্ষাধিক টাকার মতো তরমুজ বিক্রি করা যায়। স্থানীয় হাট-বাজারে গিয়েও দেখা যায় প্রতিটি তরমুজ নিুে ৫০ থেকে ১শ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এবং তা স্থানীয় বাজারের চাহিদা মিটিয়ে আশ-পাশের জেলা উপজেলায় বিক্রি হচ্ছে। বাদাঘাট ইউনিয়ন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ কফিল উদ্দিন বলেন, ফলন বিপর্যয়ের কথা চিন্তা করে প্রথম দিকে কৃষকরা তরমুজ চাষাবাদ করতে ভয় পেত, বর্তমানে ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকদের তরমুজ চাষে আগ্রহ বেড়েছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহ মাহফুজুল হক বলেন, বছর তিনেক ধরে এ অঞ্চলে পাহাড়ি ঢলে পলি-বালি পড়ে এখানকার ধান চাষের জমিগুলো ধান চাষের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। বর্তমানে এ মাটি তরমুজ চাষের উপযোগী হওয়ায় এখানকার কৃষকরা তরমুজ চাষে ঝুঁকে পড়েছে এবং ভালো ফলনও পাচ্ছে।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *