জাতীয়
তিস্তাচুক্তি না হলেও পানি কেউ আটকে রাখতে পারবে না: প্রধানমন্ত্রী
গণভবনে মঙ্গলবার বিকালে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এই আত্মবিশ্বাস ব্যক্ত করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, খালি হাতে তো আসিনি। পানি চেয়েছিলাম, বিদ্যুৎ পেয়েছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঢাকায় এসে বলেছিলেন পানি দেবেন, আমার এবারের সফরেও তিনি পানি না দেওয়ার কথা কিন্তু বলেননি। তিনি আশেপাশের কিছু নদীকে মিলিয়ে যৌথসমীক্ষার কথা বলেছেন। তবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সুস্পষ্টভাবে বলেছেন, তিস্তাচুক্তি হবে। তিনি যখন বলেছেন, আমরা অপেক্ষা করতেই পারি।
তিস্তাচুক্তি এড়িয়ে মমতার বিকল্প প্রস্তাব উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমিও তাকে বিকল্প প্রস্তাব দিয়েছি। তোর্সা ও জলঢাকা নদী থেকে আমাদের পানি না দিয়ে তারাই বরং তা তিস্তায় নিয়ে যাক। তারপর সেখান থেকে আমাদের পানি দেওয়া হোক।
প্রশ্নোত্তরে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, তিস্তার গজলডোবায় বাঁধ যখন করা হয়, তখন যারা আমাদের এখানে ক্ষমতায় ছিল, তাদের এ নিয়ে বক্তব্য থাকা উচিত ছিল। এ ব্যারেজের পরিকল্পনা ভারতের বহু আগে থেকে। আজ যারা চিৎকার করে গলা ফাটাচ্ছে, তারা টু শব্দ করেনি কেন তখন? আমরা আবার সেই নদীতেই ব্যারাজ বানিয়েছি। এর ফল আমরা এখন ভোগ করছি।
এর আগে বিকাল সাড়ে ৪টায় সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বন্ধুপ্রতীম ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক বিশেষ তাৎপর্যময়।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার ভারত সফরের মধ্য দিয়ে ঢাকা-দিল্লি সম্পর্কে নতুন গতির সঞ্চার হয়েছে। ভারত সফরের আরকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো- জঙ্গিবাদ দমনে ভারত-বাংলাদেশ ঐক্যমতে পৌঁছেছে।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে চারদিনের রাষ্ট্রীয় সফর শেষে সোমবার সন্ধ্যায় দেশে ফেরেন প্রধানমন্ত্রী। গত ৭ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা ত্যাগ করেন।