Connect with us

দেশজুড়ে

দিনাজপুরে ৩ র‌্যাব সদস্যের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা

Published

on

দিনাজপুর প্রতিনিধি:
দিনাজপুরে নিষিদ্ধ ঘোষিত ইসলামী জঙ্গি সংগঠন-জেএমবি’র এহসার সদস্য শহিদুল ইসলামকে আদালতে হাজির করা হয়। সাক্ষী হাজির না হওয়ায় বিচারক পরবর্তী তারিখ ২৬ আগস্ট ধার্য করে ৩ জন সাক্ষীকে আদালতে হাজির হতে গ্রেফতারী পরোয়ানার আদেশ প্রদান করেন।
আদালতের একটি সূত্রে প্রকাশ, গত বৃহস্পতিবার দিনাজপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মাহমুদুল করিম এর আদালতে নিষিদ্ধ ঘোষিত ইসলামী জঙ্গি সংগঠন-জেএমবি’র এহসার সদস্য শহিদুল ইসলাম (৫৮)কে দুপুর ১২টায় আদালতে হাজির করা হয়। মামলার অপর গ্রেফতারকৃত ২ আসামি উত্তরাঞ্চলের সামরিক কমান্ডার রফিকুল ইসলাম ওরফে জোবায়ের ওরফে রাসেল ওরফে জসিম (৩০) ও এহসার সদস্য শাহিন হোসেন (২৯) গ্রেফতার হতে ঢাকা কাশিমপুর কারাগারে অপর মামলায় আটক থাকায় তাদেরকে আদালতে হাজির করা হয় নি।
এই মামলার অপর এক আসামি সোহেল মাহফুজ ওরফে তুহির মামলা দায়েরের পর থেকে পলাতক থাকায় তার অনুপস্থিতিতে বিচার কাজ চলছে। পুলিশ অভিযোগপত্রের তালিকাভুক্ত ওই ৪ আসামির বিরুদ্ধে সন্ত্রাস ও অস্ত্র আইনে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করলে বিচার কাজ শুরু হয়। এই চাঞ্চল্যকর মামলার বৃহস্পতিবার সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। হাজতে আটক ৩ জন আসামির মধ্যে একজন শহিদুল ইসলামকে দুপুর ১২টায় আদালতে হাজির করা হয়। পলাতক আসামি জেএমবি’র এহসার সদস্য ও বর্তমান জেএমবি’র ভারপ্রাপ্ত আমীর সোহেল মাহফুজ ওরফে তুহিরকে গ্রেফতার করতে ইতোপূর্বেই বিচারকের আদেশে পুলিশ সদর দপ্তরের মাধ্যমে দেশের সকল থানায় হুলিয়া গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। ধার্য তারিখে মামলার এজাহারকারী জয়পুরহাট র‌্যাব-৫ এর এসআই আশরাফুল আলম ও কনস্টেবল আরিফ হোসেন ও ফারুক হোসেনের সাক্ষী গত ধার্য তারিখে গ্রহণ করা হয়েছে। অপর ৩ জন সাক্ষীকে আদালতে হাজির হয়ে সাক্ষী দেয়ার জন্য সমন জারি করা হয়েছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার ওই ৩ সাক্ষী র‌্যাব সদস্য সাক্ষ্য দেয়ার জন্য আদালতে হাজির হয় নি। ফলে ওই ৩ সাক্ষীকে আগামী ধার্য তারিখ ২৬ আগস্ট আদালতে হাজির করতে বিচারক গ্রেফতারী পরোয়ানা জারির আদেশ দেন। বিকেলে আটক আসামি শহিদুলকে কড়া পুলিশ পাহাড়ায় দিনাজপুর জেল কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
উল্লেখ্য যে, গত ২০০৮ সালের ৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় জয়পুরহাট র‌্যাব ক্যাম্প-৫ এর অভিযানে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার কশিগাড়ী গ্রামের কোরবান আলীর পুত্র জেএমবি’র এহসার সদস্য শহিদুল ইসলাম (৫৫)’র বাড়ি তল্লাশি করে বিপুল পরিমাণ বোমা তৈরির উপকরণ, বই, লিফলেট, গামবুটসহ তাকে গ্রেফতার করে। এ ঘটনায় ঘোড়াঘাট থানায় সন্ত্রাস দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়। গ্রেফতারকৃত শহিদুলের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী রাজশাহী বিভাগের জেএমবি’র সামরিক কমান্ডার নীলফামারী সদর উপজেলার সুখধনডাঙ্গা গ্রামের মোর্তুজা আলীর পুত্র রফিকুল ইসলাম ও সহযোগী শাহিন ও মাহাফুজ উদ্ধারকৃত আলামতগুলো গ্রেফতারকৃত শহিদুলের বাড়িতে রেখে গেছে। পরবর্তীতে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ থানা পুলিশের হাতে রফিকুল এবং গত ২০১১ সালের ডিসেম্বর মাসে ঢাকার সাভারে র‌্যাব সদস্যদের হাতে এহসার সদস্য শাহিন হোসেন গ্রেফতার হলে পুলিশ তাকে অত্র মামলায় গ্রেফতার করে।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *