দেশজুড়ে
নড়াইলের বিভিন্ন খাল-বিল অতিথি পাখির কলতানে মুখরিত
নড়াইল ব্যুরো অফিস:
ছায়া সুনিবিড় মনোমুগ্ধকর পরিবেশে গড়ে উঠেছে দেশের অন্যতম অরুনিমা রিসোর্ট এ্যান্ড গলফ ক্লাব। এখানে ২৩ একরেই রয়েছে মনোমুগ্ধকর লেক। আর লেক ও লেকের পাড়ে বিভিন্ন প্রকার ফলজ ও বনজ গাছে বসেছে অতিথি পাখিসহ দেশি পাখির মেলা। আরো রয়েছে কৃষিভিত্তিক খামার ব্যবস্থা। দেশি-বিদেশি কর্পোরেটসহ পর্যটকরা এখানে এসে হারিয়ে যান প্রকৃতির মাঝে। নড়াইল জেলার নড়াগাতি থানার পানিপাড়ায় ৫০ একর জায়গায় গড়ে উঠেছে ইকোপার্কটি। ২০০০ সাল থেকে এর যাত্রা শুরু। এরপর ২০০৩ সালে পরিধি বেড়ে আরো সম্প্রসারিত হয়। ২০০৬ সাল থেকে গলফ ক্লাবের যাত্রা শুরু করে। ২০০৯ সালের ১৪ জুন বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী জি এম কাদের এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। অক্টোবর থেকে মে মাস পর্যন্ত অতিথি পাখি পার্কের লেকে বিচরণ করে। ২৩ একর জায়গা জুড়েই রয়েছে লেক। লেক ভরা মাছ, পাড়ে শাক-সবজির চাষাবাদ এবং বনজ, ফলদ ও ভেষজ মিলে প্রায় এক লাখ গাছপালা রয়েছে। এসব গাছে গাছে দোয়েল, কোয়েল, ঘুঘু, কোকিল, শালিক, চুড়ইসহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখির কিচিরমিচির শব্দে ঘুম ভাঙ্গে এলাকাবাসীর। তাই ইট পাথরের শহরের একঘেয়মি থেকে একটু দূরে প্রকৃতির কোলে এসে পর্যটকরা মুগ্ধ। পার্কে নিয়মিত ৫০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োজিত আছেন। দিন অথবা রাত যে কোনো সময় অবসর যাপনের জন্য রযেছে ১৭টি এসি এবং ২৮টি নন এসি ঘর। নিজস্ব রেস্টুরেন্টে লেকের মাছ ও পাড়ের টাটকা শাক-সবজি খেতে পারবেন সুলভমূল্যে যে কোন পর্যটক। এই পর্যটন শিল্পের মাধ্যমে নড়াইলের অর্থনীতির চাকা গতিশীল হতে পারে এমনটাই প্রত্যাশা নড়াইলবাসীর।