দেশজুড়ে
নড়াইলে শুভ্রা মুখার্জী প্রয়াণে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
নড়াইল ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট : ভারতের মহামান্য রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জীর স্ত্রী স্বর্গীয় শুভ্রা মুখার্জীর প্রয়াণে নড়াইলে বিভিন্ন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে ছিল স্মরণ সভা, গীতাপাঠ, দিনব্যাপিনামকীর্তন, গীতা, বস্ত্র ও অন্নদান।
নড়াইলের তুলারামপুরে শুভ্রা মুখার্জীর মাতুলালয়ে এ সব কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। সকালে গীতা পাঠের মাধ্যমে দিন ব্যাপি কর্মসূচি শুরু হয়। বিকেল ৩টায় শুরু হয় স্মরণ সভা।
শুভ্রা মুখার্জী ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আয়োজিত স্মরণ সভায় ফাউন্ডেশনের পরিচালক অয়ন রঞ্জন দাসের উদ্যোগে সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোসের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সাবেক মন্ত্রীকর্ণেল (অব) ফারুক খান-এম পি তাঁর বক্তৃতায় বলেন, শুভ্রা মুখার্জীর স্মৃতিকে টিকিয়ে রাখার জন্য নিজস্ব জমি, প্রশাসনিক ভবন সহতাঁর স্মৃতিকে টিকিয়ে রাখার জন্য যাকিছু করণীয় সে ব্যাপারে প্রধান মন্ত্রীর আশু হস্তক্ষেপ ও দৃষ্টি কামনা করেছেন। যশোর-৫ আসনেরএ মপি স্বপন ভট্টাচার্য্য, বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ব বিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য্য ডা: প্রাণ গোপাল দত্ত, প্রাক্তন সচিব উজ্জল বিকাশ দত্ত, সরকারী কর্ম কমিশন, নড়াইলের জেলা প্রশাসক হেলাল মাহমুদ শরীফ, পুলিশ সুপার সরদার রকিবুল ইসলাম, নড়াইল সরকারী ভিক্টোরিয়া কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আনোয়ার হোসেন, মি. শ্রী প্রণব মুখার্জীর বার্তা বাহক তরিকুল মোস্তাকরানা প্রমুখ।স্মরণ সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন শুভ্রা মুখার্জীর মামাতো ভাই কার্ত্তিক ঘোষ ও বিশ্বনাথ ঘোষ।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নড়াইলের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আনন্দ কুমারবিশ্বাস, বীর মুক্তিযোদ্ধা খয়রাত হোসেন, তুলারামপুর ইউপি চেয়ারম্যান টিপু সুলতান প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন অ্যাড. সঞ্জিব কুমার বোস। শুভ্রা মুখার্জী ১৯৪০ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর নড়াইল সদরের ভদ্রবিলাগ্রামের সম্ভ্রান্ত হিন্দু পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। ১৯৫৭ সালের ১৩ জুলাই প্রণব মুখার্জীর সঙ্গে বিয়ে হয়। তিনি দুই ছেলে ও এক কন্যার জননী। ছেলে অভিজিৎ ও ইন্দ্রজিৎ এবং মেয়েশর্মিষ্ঠা।
উল্লেখ্য যে, তারসৌ জন্যে মামাবাড়ি এলাকায় দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দুটিভবন, নড়াইল সরকারি ভক্টোরিয়া কলেজে ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী ৫তলা বিশিষ্ট ছাত্রী হোস্টেল এবং মামা বাড়িতে নিজ লিখিত ইচ্ছায় শ্রী শ্রী গোপাল মন্দির, শ্রীশ্রী কালী মন্দির ও শ্রীশ্রী শিবমন্দির নামে তিনটি মন্দির নির্মাণ করা হয়এবং মসজিদ সংস্কারের জন্য কিছু অনুদান ও প্রদান করেন।
বাংলাদেশেরপত্র/এডি/আর