পুলিশ সূত্রে জানা যায়, হযরত আলী তার বসতভিটার পার্শে¦ সুপারির বাগানে দীর্ঘদিন যাবৎ গাঁজার চাষ করতো। গাঁজা চাষের পাশাপাশি ঘোড়াও বিক্রি করতেন তিনি। গত মঙ্গলবার বিকেলে সদর থানার পুলিশ এস আই এনামুল হক, পুলিশ সদস্য নারায়ন চন্দ্র ও রমানাথ গোড়া কেনার উদ্দেশ্যে হয়রত আলীর বাড়িতে যান। এক পর্যায়ে হযরত আলীর সাথে ওই পুলিশ সদস্যরা সখ্যতা গড়িয়ে তার কাছ থেকে ১০ পুড়িয়া শুকনো গাঁজা (আনুমানিক ওজন ৫০ গ্রাম), ২ টি মাটির কলসি ও তার বসতভিটা থেকে ছোট বড় ১২টি গাঁজার গাছসহ তাকে গ্রেফতার করেন।
তারা জানান, আরও ছোট্ট ছোট্ট ৪০/৫০টি চারা এলাকাবাসীর সম্মুখে ধ্বংস করা হয়। গ্রেফতার অভিযানে নেতৃত্ব দেন পঞ্চগড় সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোমিনুল ইসলাম মোমিন।
এ ব্যাপারে পঞ্চগড় সদর থানায় ১৯৯০ সালের মাদকদ্রব্য আইনের ১৯ (ক) টেবিলের ৭(ক)/ ৮(ক) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পঞ্চগড় পুলিশ সুপার গিয়াস উদ্দীন কাঁচা গাঁজার গাছসহ গাঁজা চাষিকে আটকের সত্যতা নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, জেলায় মাদকের ব্যাপারে কোন ছাড় নেই। আমাদের দেশের তরুণ প্রজন্ম যেভাবে মাদকের দিকে ঝুঁকে পড়ছে, আমরা যদি এখনেই সোচ্চার না হই। তাহলে তাদেরকে রক্ষা করা প্রতিটি অবিভাবকের জন্য অভিশপ্ত হয়ে দাঁড়াবে। এজন্য সাংবাদিকসহ জেলার সর্বস্তরের লোকজনের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।