দেশজুড়ে
পঞ্চগড়ে পুরোহিত যজ্ঞেশ্বর রায়কে হত্যা মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল
গত ২১ ফেব্রুয়ারি শ্রীশ্রী সন্ত গৌড়ীয় মঠে গিয়ে দুর্বৃত্তরা যজ্ঞেশ্বর চন্দ্র রায়কে (৫০) গলা কেটে হত্যা করে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আইয়ুব আলী বলেন, মূল পরিকল্পনাকারী ও হত্যায় জড়িত ব্যক্তিদের সবাইকে গ্রেপ্তার করা না গেলেও পুরো ঘটনাটি খুব কম সময়ের মধ্যে উদ্ঘাটন করা হয়েছে। জড়িত ১০ জনের মধ্যে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে তিনজন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
মামলার আসামিরা হলেন গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার বোনারপাড়া ইউনিয়নের পূর্ব ভূতমারা এলাকার ওসমান গণির ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে রাজীব ওরফে আন্ধি (২৬), বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার ক্ষুদ্র কুষ্টিয়া এলাকার মোহাম্মদ আলী মোল্লার ছেলে রাজিবুল ইসলাম মোল্লা ওরফে বাদল ওরফে বাঁধন (২৫), কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার চর বিদ্যানন্দ এলাকার তাজু আলম ওরফে আলম জলার ছেলে মো. সাদ্দাম হোসেন ওরফে রাহুল (২৪), পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার সোনাহার গজপুরী এলাকার আবদুল্লাহর ছেলে মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম ওরফে বাইক নজরুল ওরফে হাসান (২৬), একই উপজেলার দেবীগঞ্জ কামাতপাড়া এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে মো. আলমগীর হোসেন (২৪), প্রধানাবাদ মসজিদপাড়া এলাকার মৃত আবুল খায়েরের ছেলে মো. রমজান আলী (২০), কালীর ডাঙ্গা এলাকার মৃত মোজাম্মেল হকের ছেলে মো. হারেজ আলী (৩৩), বানিয়াপুর প্রধানপাড়া এলাকার মৃত তায়েজউদ্দীনের ছেলে খলিলুর রহমান (৬০), পূর্ব দেবীডুবা নজিরনপাড়া এলাকার মো. সাইফুল ইসলামের ছেলে
মো. রানা (২৫) এবং দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার দক্ষিণ দেবীপুর এলাকার আবদুল হাইয়ের ছেলে মো. শফিউল আলম ওরফে ডন ওরফে সোহান (২০)। তাঁদের মধ্যে জাহাঙ্গীর হোসেন, রাজিবুল ইসলাম মোল্লা, সাদ্দাম হোসেন, নজরুল ইসলাম, রানা ও শফিউল আলম পলাতক রয়েছেন। হাজতে রয়েছেন আলমগীর হোসেন, রমজান আলী, হারেজ আলী ও খলিলুর রহমান।
এ ছাড়া প্রাথমিকভাবে জড়িত থাকার কোনো তথ্যপ্রমাণ মেলেনি উল্লেখ করে সন্দেহভাজন গ্রেপ্তার মো. জাহাঙ্গীর আলম (৩০), মো. বাবুল ইসলাম (৩২) ও আবদুল মোমিনকে (৩০) মামলা থেকে অব্যাহতির আবেদন করেছে পুলিশ।