জাতীয়
পর্যটনের উন্নয়নে মহাপরিকল্পনা গ্রহণের সিদ্ধান্ত
পর্যটন শিল্পের ব্যাপক উন্নয়ন ও বিকাশের পাশাপাশি দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণের লক্ষ্যে মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করছে সরকার। পর্যটন শিল্পের বিদ্যমান ও সম্ভাব্য স্থানগুলোর পরিকল্পিত উন্নয়ন নিশ্চিত করা হবে এ পরিকল্পনার মাধ্যমে। বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে জাতীয় পর্যটন পরিষদের তৃতীয় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সভায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও সচিবরা উপস্থিত ছিলেন। পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব এ কে এম শামীম চৌধুরী সভার বিষয়ে সাংবাদিকদের অবহিত করেন। তিনি জানান, বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন ও বিকাশকে গতিশীল করতে ২০১৬ সালকে ‘পর্যটন বর্ষ’ হিসেবে উদযাপন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সভায়। এক্ষেত্রে ২০১৫-২০১৮ তিন অর্থবছরে আনুমানিক ২০০ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। টুঙ্গীপাড়ায় জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধ সংলগ্ন এলাকার প্রাকৃতিক গ্রামীণ পরিবেশ অক্ষুন্ন রেখে এলাকাটিকে পর্যটক আর্কষক হিসেবে গড়ে তোলার জন্য বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে একটি মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করার বিষয়েও সিদ্ধান্ত হয় সভায়। ভারতের চেন্নাই থেকে একটি নৌ-ক্রুজ বাংলাদেশের জলসীমা অতিক্রম করে আন্দামান হয়ে মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া হয়ে সিংগাপুরে শেষ হয়। এ ক্রুজে বাংলাদেশ সম্পৃক্ত হলে ক্রুজটি কলকাতা হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করবে। এ লক্ষ্যে ভারতসহ কয়েকটি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের নৌ প্রটোকল সই করার বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হয় এ সভায়। বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণ করতে অন-অ্যারাইভাল ভিসা সহজীকরণ এবং দীর্ঘমেয়াদী মাল্টিপল ভিসা ও ই-ভিসা চালু করার বিষয়টিও আলোচনায় উঠে আসে বলে সচিব জানান। দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রত্মতাত্ত্বিক ও ঐতিহ্যবাহী ধর্মীয় স্থাপনাগুলোকে কেন্দ্র করে ‘পর্যটন সার্কিট’ তৈরি করার বিষয়েও আলোচনা হয় সভায়।