Connect with us

দেশজুড়ে

পীরগাছায় প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানকে হয়রানীর চেষ্টায় একটি কু-চক্রি মহল

Published

on

পীরগাছা (রংপুর) প্রতিনিধি: রংপুরের পীরগাছা উপজেলার চর পুর্ব ছাওলা গ্রামে স্থাপিত বিদ্যালয়কে হয়রানীর চেষ্টায় কু-চক্রি মহল ভুয়া কাগজপত্র দেখিয়ে একই নামে নতুন দুইটি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার অপচেষ্টায় শিক্ষিত বেকারদের থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে । অনুসন্ধানে জানা যায়, উপজেলার ছাওলা ইউনিয়নের চর পুর্ব ছাওলা গ্রামে ২০০২ সালে চর পুর্ব ছাওলা বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হয়ে অতি – সুনামের সাথে প্রায় শতাধিক ছাএ/ছাএী নিয়ে শিক্ষা ব্যবস্থাসহ অফিসিয়াল সকল কার্যক্রম চলছে । ইতিমধ্যে বাংলাদেশ সরকার একুশ ভিশনের আওতায় ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সরকারের ঘোষিত বাংলাদেশে ২৬ হাজার ১ শত ৯৩ টি প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারি হয়েছে । জানা যায়, একারনে উদ্যোগ নিয়ে (গ ) ক্যাটাগরিতে বিভক্ত করলে উক্ত বিদ্যালয়টি(গ) ক্যাটাগরিতে পড়ে । এই বিষয়টি প্রকাশ পেলে এলাকার কিছু কু-চক্রি মহলের সহযোগিতায় ইয়াকুব আলী নিজেই প্রধান শিক্ষক সেজে ১/২ মাস পুর্ব উক্ত বিদ্যালয়ের অনিত দুরে আনুমানিক ৫ হাত দুরে আলুক্ষেতে একটি ঘর তুলে একই নামে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চালাচ্ছে । অভিযুক্ত বিদ্যালয়টির বিষয়ে এলাকার আলম মিয়া বলেন, ইয়াকুব আলী ও এমদাদুল হক আমার জমিতে জোর করে স্কুল ঘর তুলেছে । আমি বাধা দিলে আমাকে বিভিন্ন ধারনের হুমকী দিয়েছেন । তাই আমি এখনও জমি লিখিত করে দেই নাই তার কারন ওই ইয়াকুব আলী ও এমদাদুল হক এর ভুয়া কাগজপত্র দেখিয়ে একই নামে নতুন একটি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার অপচেষ্টা চালাচ্ছে শুনেছি । তিনি আরো বলেন, শুনেছি ৪ জন শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছেন এবং তাদের কাছ থেকে টাকাও নিয়েছেন । বিদ্যালয়ে ছাত্র/ছাত্রীর সংখ্যা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে আমার জানা নাই । প্রতিষ্ঠিত স্কুলটির প্রধান শিক্ষক কারিমা বেগম বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়টিকে ধ্বংস করতে কিছু স্বার্থান্বেষী মহল নিয়োগ বাণিজ্যের আশায় একই নামে আরেকটি প্রতিষ্ঠান নাম মাত্র প্রতিষ্ঠিত করতে চাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট মহলের কাছে সত্যতা প্রমাণ সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণেরও তিনি দাবি জানান। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়টির চলমান ম্যানেজিং কমিটির সাথে কথা বললে তারা জানান, কু-চক্রীয় মহলের নামমাত্র ঐ প্রতিষ্ঠিানটির মূল হোতারা দাঙ্গাবাজ প্রকৃতির, তাই তারা আমাদের প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানটিকে ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য পায়তারা চালাচ্ছে। অপরদিকে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক ইয়াকুব আলী তার প্রতিষ্ঠানটির জমিটি বর্তমানে চুক্তি সাপেক্ষে নেওয়া আছে এবং বিদ্যালয়টি বৈধ বলেও জানান। বিষয়টি নিয়ে গ্রামের লোকজন চরম উৎকন্ঠায় বসবাস করছেন । বিজ্ঞ মহল মনে করেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে এলাকার শান্তিপূর্ণ পরিবেশের মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রাখারও তারা দাবি জানান।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *