প্রথমবারের মতো সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতল বাংলাদেশ। নির্ধারিত সময়ে ১-১ সমতায় থাকা ম্যাচটি টাইব্রেকারে গড়ায়। তবে পেনাল্টি শুটআউটে ৪-২ ব্যবধানে ভারতকে হারিয়ে শিরোপা নিশ্চিত করে বাংলাদেশের কিশোররা। টাইব্রেকারে বাংলাদেশের হয়ে গোল করেন আতিকুজ্জামান, সাদ উদ্দিন, ফাহিম মোরশেদ ও জাহাঙ্গীর। মঙ্গলবার (১৮ আগস্ট) বিকেল ৫টায় সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে খেলা শুরু হয়। খেলার শুরু থেকেই ভারতকে চেপে ধরে খেলতে থাকে বাংলাদেশ। একাধিকবার শাওন-সাদ-মুজতাবারা ভারতের শিবিরে আক্রমণ চালায়। কিন্তু প্রথমার্ধে গোলের মুখ দেখেনি দুই দলের কেউই। তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই এগিয়ে যায় লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। ৪৭ মিনিটে ফাহিম মোরশেদের গোলে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ (১-০)। অধিনায়ক শাওনের পাস থেকে বল পেয়ে ভারতের ডি-বক্সের মধ্যে থাকা ফাহিম গড়ানো শটে গোল করেন। তবে সমতায় ফিরতে বেশি সময় নেয়নি ভারত। ম্যাচের ৬৩ মিনিটে ভারতের খেলোয়াড় অময় অভিনাসের দূরপাল্লার জোড়ালো শটে সমতায় ফেরে গতবারের চ্যাম্পিয়নরা (১-১)। ৭৯ মিনিটে একটি সুবর্ণ সুযোগ মিস করে বাংলাদেশ। এ সময় ডি-বক্সের মধ্যে বিপদজনক যায়গায় অধিনায়ক শাওনের পাস থেকে বল পেয়ে যান প্রথম গোলের নায়ক ফাহিম, কিন্তু তার শট বারের পাশ দিয়ে চলে যায় মাঠের বাইরে। ৮৩ মিনিটে ডি-বক্সের ঠিক সামনে ফ্রি-কিক পায় বাংলাদেশ। তবে গোলের মুখ দেখেনি স্বাগতিকরা। আর ৮৬ মিনিটে আবারো গোলের সুযোগ হাতছাড়া করে বাংলাদেশ। এ সময় খলিল ভূইয়ার শটটি বারের উপর দিয়ে চলে যায় মাঠের বাইরে। একেবারে অন্তিম মুহূর্তে দুটি আক্রমণ করেও গোল পায়নি বাংলাদেশ দল। এ সময় খলিল ভূইয়ার উড়ন্ত বলে বদলী খেলোয়াড় রনির হেড লুফে নেন ভারতের গোলরক্ষক। আর পরের মিনিটে রনির আরেকটি আক্রমণ ব্যর্থ হয় ডি-বক্সেই। নির্ধারিত সময় শেষে ম্যাচটি টাইব্রেকারে গড়ায়। উল্লেখ্য, সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের গত দুটি আসরই অনুষ্ঠিত হয় নেপালে। দুবারই বাংলাদেশের কিশোররা সেমিফাইনাল থেকে ছিটকে পড়ে। ২০১১ সালে প্রথম আসরে ছয় দলের মধ্যে চতুর্থ হয়েছিল বাংলাদেশ। পরের আসরে (২০১৩ সালে) সাত দলের মধ্যে তৃতীয় হয় বাংলাদেশের কিশোররা। পাকিস্তান প্রথমবার ও ভারত দ্বিতীয় আসরের শিরোপা জেতে।
বাংলাদেশেরপত্র/এডি/এস