ঢাকা বিভাগ
ফরিদপুরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কেরামতি ২ লাখ টাকার কাজের ব্যয় ৩০ লাখ টাকা!
ফরিদপুর প্রতিনিধিঃ
ফরিদপুরে পানি উন্নয়ন বোর্ডে পদ্মা নদীর তীর সংরক্ষণ কাজে ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। পাউবো’র সরবরাহ করা জিও ব্যাগ ও বÍকের বাইরে শুধুমাত্র শ্রমিকদের মুজুরী বাবদই প্রায় ৩০ লাখ টাকা ব্যয় দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা আত্মসতের প্রক্রিয়া চলছে। একাজে সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকার বেশি ব্যয় হওয়ার কথা নয় বলে জানিয়েছে ওয়াকিবহাল মহল।
প্রাপ্ত অভিযোগে জানা গেছে, ফরিদপুর সদর উপজেলা ও সংলগ্ন চরভদ্রাসন উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা সাইনবোর্ড নামকস্থানে পদ্মা নদীর তীর সংরক্ষণ কাজ করা হয় সম্প্রতি। এলাকাবাসী জানান, চলতি বর্ষা শুরুর আগে ওই এলাকার পদ্মা তীর সংরক্ষণ বাঁধের কিছু অংশ দেবে যায়। তবে সেসময়ে অভিযোগ জানানো সত্বেও ব্যবস্থা নেয়নি পাউবো। এরপর সম্প্রতিক বর্ষায় নদীর পানি বৃদ্ধি পেলে ওইস্থানে আরো প্রায় ৫০মিটার বাঁধ নতুন করে করে ধ্বসে যায়। এরপর এরপর ওই কাজের জন্য জরুরী ভিত্তিতে সংস্কার কাজে হাত দেয় পাউবো। অভিযোগ রয়েছে, বিনা টেন্ডারে ৩০ লাখ টাকার ভুয়া এষ্টিমেট করে মাত্র দুইদিনে নদী তীরে জিও ব্যাগ ও কিছু ব্লক ফেলা হয়। এজন্য নিয়োগ করা হয় জনৈক লিটন মল্লিক নামে এক ঠিকাদারকে। এলাকার ওয়াকিবহাল জানান, সরেজমিনে আমরা দেখেছি দুই দিনে যে কাজ করানো হয়েছে তাতে এর ব্যয় সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকার বেশি হবে না।
এব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ড পরিদপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: মাইনুদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, উল্লেখিত কাজে জিও ব্যাগ ও ব্লক আমরা দিয়েছি। ঠিকাদার শুধু শ্রমিকদের বিল পাবে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩০ লাখ টাকা। তবে তীর সংরক্ষণ মেরামতের এ কাজের ব্যয় সামান্য কম বেশী হতে পারে। খরচের এষিটমেট এখনও করা হয়নি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক এক কর্মকর্তা জানান, সাইনবোর্ড এলাকার নদীর তীড় সংরক্ষণ কাজের ব্যয় সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকার বেশী হবে না। তার কারণ হচ্ছে, সমস্ত মালামাল পানি উন্নয়ন বোর্ড সরবরাহ করেছে, ঠিকাদার মাত্র লেবার দিয়ে নদীর পাড় মেরামত করেছেন।
এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত এসও জহিরুল হকের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আমি এখন ব্যস্ত আছি, আপনার সাথে পরে কথা হবে।