Connect with us

জাতীয়

ফেডারেল রিজার্ভের বিরুদ্ধে মামলা করবো: মুহিত

Published

on

muhit120160127124319বিডিপি ডেস্ক: বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে দশ কোটি ডলার লোপাট হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিরুদ্ধে মামলা করার ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী এমএ মুহিত।
অ্যাকাউন্ট হ্যাকিং হওয়ার বাংলাদেশের অভিযোগ ফেডারেল রিজার্ভ নাকচ করার পরপরই মি মুহিত সাংবাদিকদের কাছে এই সিদ্ধান্ত জানান। “আমরা তাদের কাছে টাকা রেখেছি, এই দায় তাদের …. বাংলাদেশ ব্যাংকের কোনো দোষ নেই।”
কেন টাকা খোয়া যাওয়ার ব্যাপারে ফেডারেল রিজার্ভকেই তিনি দায়ী করছেন– এই প্রশ্নে মি মুহিত বলেন, একটি পেমেন্টের ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন পাওয়ার আগেই টাকা দিয়ে দেওয়া হয়।
অর্থমন্ত্রী জানান, একটি পেমেন্টের ব্যাপারে ফেডারেল রিজার্ভ থেকে কিছুদিন আগে বাংলাদেশ ব্যাংকে একটি বার্তা পাঠিয়েছিল। বাংলাদেশে ব্যাংক পরীক্ষা করে তাদের জানায় পেমেন্টের এই দাবী ভুয়া। “কিন্তু এই বার্তা পৌঁছানোর আগেই পেমেন্ট হয়ে গেছে। সুতরাং ফেডারেল রিজার্ভ কোনো মতেই দায়িত্ব এড়াতে পারবে না।”
সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে তাদের এক ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ লোপাট করা হয়েছে। এই অর্থের পরিমাণ সম্পর্কে বাংলাদেশের এই কেন্দ্রীয় ব্যাংক আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু না জানালেও কর্মকর্তারা বিবিসিকে জানান, বেহাত হওয়া অর্থের পরিমাণ প্রায় দশ কোটি মার্কিন ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, চুরি যাওয়া অর্থ ফিলিপাইনে রয়েছে এবং ঐ অর্থের একটি অংশ আদায় করা সম্ভব হয়েছে।
কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্রকে উদ্ধৃত করে বার্তা সংস্থা রয়টরস্‌ এবং ব্লুমবার্গ খবর দেয় ফেডারেল রিজার্ভের ব্যবস্থায় হ্যাকিংয়ের কোনও প্রমাণ নেই।
বিশ্বের প্রায় ২৫০টির মত দেশের সরকার এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভে টাকা জমা রাখেবাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ বর্তমানে ২৮০০ কোটি ডলারের মত। বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা খোয়া যাওয়ার খবর প্রথম প্রকাশিত হয় ফিলিপাইনে।
ফিলিপাইনের একটি পত্রিকা ‘ইনকোয়ারারে’ র খবর অনুযায়ী ফেডারেল রিজার্ভের একাউন্ট থেকে এই অর্থ ট্রান্সফার করা হয়েছিল সেখানকার কয়েকটি ব্যাংকে। এরপর সেই অর্থ বৈদেশিক মুদ্রার কালোবাজারি, স্থানীয় কিছু ক্যাসিনো সহ নানা হাত বদল হয়ে চলে যায় অন্যদেশে। ফিলিপাইনের এই পত্রিকার খবর অনুযায়ী, সেদেশের ইতিহাসে এত বড় মানি লন্ডারিং এর ঘটনা আর ঘটেনি।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *