বিবিধ
বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বাণিজ্য হচ্ছে : ডা. ইমরান
রাজধানীর শাহবাগ প্রজন্ম চত্বরে শনিবার বিকেলে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে গণজাগরণ মঞ্চ আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা; আমরা কি ঠিক পথে?’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. ইমরান বলেন, বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতি, বৈষম্যহীন, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ। অথচ আজ সমাজে নানাভাবে বৈষম্য বেড়ে চলছে। বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন এদেশের ছেলেমেয়েরা বিজ্ঞানমুখী শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে, অথচ একমুখী শিক্ষাব্যবস্থার বদলে বৈষম্যমূলক মাদ্রাসা শিক্ষাব্যবস্থায় দেশের তরুণদের বড় অংশের দায়িত্ব সরকার নিচ্ছে না। মাদ্রাসা শিক্ষাব্যবস্থা থেকে বিজ্ঞানকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে, ফলে এই তরুণরা না করতে পারছে কাজ, না পাচ্ছে চাকরি।
প্রবীণ সাংবাদিক ও কলামিস্ট আবু সাইদ খান বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম নির্ধারণ করে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম মূলনীতি ধর্মনিরপেক্ষতা থেকে অনেকদূর সরে এসেছে বাংলাদেশ। সরকারিভাবে মৌলবাদকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশের অগ্রগতির পথকে দুর্গম করে ফেলা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণ করতে হলে আগে পরমতসহিষ্ণু সব মতের, ধর্মের মানুষের জন্য নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে।
মানবাধিকারকর্মী খুশি কবীর বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর সংবিধানে সমাজতন্ত্রের ব্যাখ্যা হিসেবে ‘সামাজিক ন্যায়বিচার’ লিখে একে অস্পষ্ট করে তোলা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ গড়তে হলে সাংবিধানিক অস্পষ্টতাগুলো দূর করতে হবে।
ভাস্কর রাসা বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দ্রুত সম্পন্ন করে সাধারণ মানুষের সম্পদ লুটপাটকারীদের বিচারের আওতায় এনে জাতির জনকের স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে।
বাংলাদেশেরপত্র/এডি/আর