দেশজুড়ে
বন্দোবস্ত ছাড়াই সরকারী খাস জমিতে স্থাপিত তেঁতুলিয়া প্রেসক্লাবের ঘর উচ্ছেদ
তেঁতুলিয়া প্রতিনিধি : পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলায় তেঁতুলিয়া প্রেসক্লাব কাঠ বাঁশের একটি ঘর বানিয়ে তেঁতুলিয়া বাজারে অবস্থিত সরকারী খাস জমি অবৈধভাবে দখল করে। উল্লেখ থাকে যে এই তেঁতুলিয়া প্রেসক্লাব মো: সোহরাব আলীর সভাপতিত্বে পরিচালিত। সরকারী খাস জমি কোনো প্রকার বন্দোবস্ত ছাড়াই অবৈধ ভাবে দখল করার বিষয়টি উপজেলা প্রসাশনের নজরে আসলে উপজেলা প্রসাশনের নির্দেশে গত ২৬ জুলাই অবৈধ ভাবে নির্মিত ঘরটি উচ্ছেদ করা হয়। উপজেলা প্রসাশনের এই নির্দেশের প্রতিবাদে সোহরাব আলীর নেতৃতে ৩/৪ জন সদস্য ও পঞ্চগড় জেলার ৩/৪ জন সাংবাদিক এবং কয়েকজন সাধারণ জনগণ নিয়ে ২৭ জুলাই তেঁতুলিয়া চৌরাস্তায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বিরুদ্ধে একটি মানব বন্ধন করা হয়। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সোহরাব আলী বলেন বিষয়টি সম্পর্কে এম পি মহোদয় অবগত আছেন এবং জেলা প্রসাশক আমাদের অনুমতি দিয়েছেন তাই আমরা ঘর তৈরী করেছিলাম। আমরা অন্যায় কিছু করি নাই। এ সময় কোনো কাগজপত্র উনি দেখাননি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বলেন, সরকারী খাস জমি কোনো প্রকার বন্দোবস্ত ছাড়াই অবৈধ ভাবে দখল করা সরকারী নীতিমালায় বেআইনী এবং এখানে আইন অনুযায়ী ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তেঁতুলিয়া মডেল থানার ওসি জেড এম আসাদুজ্জামান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন সরকারী কাজে বাধা প্রদান এবং সরকারী সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করাও বেআইনী এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তেঁতুলিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ইয়াসিন আলী মন্ডল এবং সাধারণ সম্পাদক কাজী মাহমুদুর রহমান ডাবলু বলেন সরকারী নীতিমালায় যা বেআইনী তাহাই অবৈধ। তেঁতুলিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি খন্দকার আরিফ হোসেন এর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে বলেন, সরকারী খাস জমির ব্যাপারে সরকারী স্বীদ্ধান্তই চুড়ান্ত বলে আমি মনেকরি।
উল্লেখ্য তেঁতুলিয়া প্রেসক্লাব নামে তেঁতুলিয়ায় ২টি প্রেসক্লাব বিদ্যমান। অন্য প্রেসক্লাবটি হাসান আলী মিঞাঁর সভাপতিত্বে পরিচালিত। বিভিন্ন কর্মকান্ড এবং একই নামে ২টি প্রেসক্লাব হওয়ায় প্রসাশন ও জনগণ বিভ্রান্তির শিকার হচ্ছে।
বাংলাদেশেরপত্র/এডি/এ