দেশজুড়ে
বাঘায় আসামীর বাড়িতে বাদির সহাবস্থান!
জানা গেছে, একই বিদ্যালয়ে চাকরির সুবাদে পরিচয়ের এক পর্যায়ে শিক্ষিকা মর্জিনাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন লাইব্রেরিয়ান জাকিরুল আলম (টুটুল)। প্রায় ৪ বছর আগে মর্জিনার প্রথম পক্ষের স্বামীর সাথে ছাড়াছাড়ি হওয়ার পর সম্পর্ক গড়ে তুলে বিয়ের প্রস্তাব দেন জাকিরুল। তার কথায় বিয়ের প্রস্তাবে রাজি হন মর্জিনা। বিয়ের অজুহাতে প্রায় ৩বছর বিভিস্থানে মর্জিনাকে নিয়ে গিয়ে রাত্রিযাপনও করেছেন জাকিরুল। বিয়ের টালবাহনায় ৩বছরে বিভিন্ন সময়ে ২ লক্ষ টাকাও নিয়েছেন এবং দৈহিক ফায়দাও লুটেছেন।
সর্বশেষ ১৬ মার্চ বুধবার বিকালে বিয়ের কথা বলে মর্জিনাকে নিজ বাড়িতে ডেকে নেন জাকিরুল। সেখানেও বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষনের চেষ্টা করা হয়। এসময় বাঁধা দিয়ে, বিয়ের প্রস্তাব দেয় মর্জিনা। তাকে বিয়ে করবেনা বলে, পরিধেয় বস্ত্র ছিঁড়ে ফেলে শ্লীলতাহানিসহ শারিরিক নির্যাতন করে জাকিরুল। জাহাঙ্গীরসহ তার বাড়ির অন্যান্য লোকজন টানা হেঁচড়া করে মোবাইল ফোনসহ ৩০ হাজার টাকা বের করে নেয়। পরে পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে মর্জিনাকে তার পিতার বাড়িতে পৌঁছে দেয়। এর আগে গত বছরের ডিসেম্বর মাসের ১৫ তারিখে বিয়ের কথা বলে ধর্ষন করেছে বলে অভিযোগে উলেখ করা হয়। এ ঘটনায় লাইব্রেরিয়ান জাকিরুলসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে গত মাসের ২০ তারিখে মামলা করেন শিক্ষিকা মর্জিনা। (মামলা নং-১৮) দন্ডবিধি ৩২৩.৩৭৯,৫০৬ ধারাসহ নারি ও শিশু নির্যাতন আইনের ৯(১১)/৯-৪(খ)/১০/৩০ ধারা। মামলার পর ওই মাসের ২৪ তারিখে চারঘাট উপজেলার জাকিরুলের এক আতœীয়র বাড়িতে ৩লক্ষ টাকা দেনমোহর ধার্য করে বিয়ে করেন তারা। মহারানা বাবদ ৫’শত টাকা মুল্যের একটি সোনার নাকফুল তাৎক্ষনিক প্রদান করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এর পর আসামি স্বামীর সাথেই তার বাড়িতে এখন অবস্থান করছেন বাদি মর্জিনা।
এদিকে বিয়ের পর মামলা তুলে নেওয়ার জন্য তদবির করেন বাদি মর্জিনা। সুযোগ বুঝে কোপ মেরে ১০ হাজার টাকা উৎকোচ দাবি করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) হীরেন্দ্রনাথ। না জানিয়ে বিয়ে করার জন্য, আগে ১০ হাজার টাকা দাবি করে বাদি পক্ষকে বলেন, পরে মামলার হিসাব নিকাশ হবে। কোন এক মাধ্যমে বিষয়টি জানার পর, যোগাযোগ করা হয় তদন্ত কর্মকর্তা হীরেন্দ্রনাথের সাথে। এ সময় উৎকোচ চাওয়ার বিষয়টি অস্বিকার করেন তিনি। আসামিরা কিভাবে বাড়িতে থাকছে,এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, বিয়ে করেছে তাই।
এদিকে অনৈতিক কর্মকান্ডের অভিযোগে দু’জনকে সমায়িক বরখাস্ত করেছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। যার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইফুল ইসলাম বাচ্চু।