দেশজুড়ে
বাঘায় ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ত কামাররা
বাঘা প্রতিনিধি, রাজশাহী: রাজশাহীর বাঘায় ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে কামাররা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। আর মাত্র কয়েকদিন পর আসছে মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আযহা অর্থাৎ কোরবানীর ঈদ। তাই আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে কোরবানীর পশু জবেহ ও মাংস প্রস্তুত করার অন্যতম উপকরন দা, ছুরি, বটি, চাপাতি তৈরী ও পুরোনো উপকরণ গুলোর ঝালাই বালাইয়ের কাজে ব্যাস্ত হয়ে পড়েছেন বাঘা উপজেলার কামার শিল্পিরা।
কারিগররা দিন-রাত বিরামহীন পরিশ্রম করে তৈরি করছে দা, বটি, ছুরা, চাকু, চাপাতি ও কুড়াল। আবার অনেকে পুরাতন দা, বটি, চাকু ও চাপাতি সংস্কারের জন্য নিয়ে আসছেন তাদের কাছে। ভ্রাম্যমাণ শানদানিরা চষে বেড়াচ্ছে এখানে-সেখানে।
উপজেলার মনিগ্রাম বাজারের সুবল কামারের ছেলে দীপু কামার জানান, কোরবানির ঈদে হাজার হাজার গরু, খাসি, ভেড়া, মহিষ ইত্যাদি পশু কোরবানি করা হয়ে থাকে। এসব পশু জবাই থেকে শুরু করে রান্নার জন্য চুরান্ত প্রস্তুতি পর্যন্ত দা-বঁটি, ছুরি-ছোরা, চাপাতি ইত্যাদি ধাতব হাতিয়ার প্রয়োজন পড়ে। ঈদের বিপুল চাহিদার জোগান দিতে আরও এক মাস আগে থেকেই কাজ শুরু হয়েছে।
সরেজমিনে উপজেলার মনিগ্রাম, পাকুড়িয়া, দাদপুর গড়গড়ি, বাঘা সদর, আড়ানী, বাউসাসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রত্যেকটি বাজারের কামাররা এখন মহাব্যাস্ততার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় কাজের চাহিদা বেশী থাকায় চাহিদা মেটাতে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন কামাররা। দম ফেলার যেন সময় নেই তাদের। তাই দিন রাত নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে শোনা যাচ্ছে হাতুড়ি পেটার টুংটাং শব্দ।
বাঘা সদরের শ্রী দ্বীজেন কামার জানান, আকৃতি ও লোহা ভেদে দা ৬০ থেকে ৪৭০ টাকা, ছুরি ৩৫ থেকে ৩২০ টাকা, ছোরা প্রতিটি সর্বোচ্চ ৪৫ টাকা, হাড় কোপানোর চাপাতি এক একটি ২২০ থেকে ৪৫০ টাকা এবং ধার দেয়ার স্টিল প্রতিটি ৫০ টাকা করে বেচাকেনা হচ্ছে। পুরনো যন্ত্রপাতি শান দিতে বা ‘পানি’ দিতে ১৫০ টাকা পর্যন্ত নেয়া হচ্ছে। তবে তারা জানিয়েছেন নতুন উপকরন বিক্রির চেয়ে পুরোনো উপকরনের ঝালাই কাজের চাহিদাই সবচেয়ে বেশী।
বাংলাদেশেরপত্র/এডি/আর