দেশজুড়ে
বেনাপোল বন্দরে শুল্ক ফাঁকির সময় ধরা, ৬৪ লাখ টাকা জরিমানা
বেনাপোল প্রতিনিধি: বেনাপোল বন্দর থেকে অর্ধকোটি টাকার শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আমদানিকৃত থ্রীপিচের একটি পন্য চালান পাচার করার সময় বুধবার বিকালে চালানটি হাতে নাতে আটক করেছে কাষ্টম শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ। এ সময় সি এন্ড এফ এজেন্ট সোনার গাঁ এজেন্সী এ পন্য চালানটির খালাস প্রক্রিয়া করছিলেন।
ইতোপূর্বে এ সি এন্ড এফ এজেন্ট প্রতিন্ঠানটির বিপরীতে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে পন্য পাচারের একাধিক অভিযোগ রয়েছে বলে বেনাপোল কাস্টমসের একটি সূত্র নিশ্চিত করেছেন। কাষ্টম গোয়েন্দা বিভাগ জানায় গত ৩১ আগষ্ট মেনিফিষ্ট নং ৩৭৬০৭ এর বিপরীতে ঢাকার আমদানি কারক দিওয়ান ইন্টারন্যাশনাল ও ভারতের কোলকাতার রফতানি কারক বালাজি ট্রেডিং এর নিকট থেকে ২৫ হাজার ৫৮০ মার্কিন ডলার মুল্যের ৫ হাজার ৫০০পিচ থ্রিপিচ ও ২ হাজার ৫০০ কেজি ফ্রেবিকস আমদানী করেন।পন্য চালানটি ছাড় করানোর জন্য একাধিক ল্ইাসেন্স ব্যবহারকারী শরিফ মোহাম্মদ হ্যাপি সিএন্ডএফ এজেন্ট এর কাগজপত্র দাখিল করেন।
শুল্ক কর্তপক্ষ পন্যচালানটির পরিক্ষন সম্পন্ন করে প্রতিবেদন দাখিল করেন।এটি খালাশের প্রাক্কালে কাষ্টম ও শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তর বেনাপোল গোপন সংবাদে পন্য চালানটি খালাশ বন্ধ করে দেয়।পরে যৌথভাবে পূন: পরীক্ষনের নির্দেশ দেন কাষ্টম কমিশনার।যেীথ পরীক্ষনে পন্য চালানের মধ্যে ১৪ হাজার ৫০০পিচ থ্রীপিচ ও ৩ হাজার ৫৭৯ কেজি ফ্রেবিকস পাওয়া যায়। যাহা ঘোষনার প্রায় ৩ গুন বেশী।এ পন্য চালানটি থেকে ৪৪ লাখ টাকার রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া হচ্ছিল বলে কাষ্টম কর্তৃপক্ষ জানান। এ চালানটি থেকে শুল্ক করাদি বাবদ ৫৪ লাখ টাকা এবং জরিমানা বাবদ ১০ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় করে। পন্য চালনটি ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে বেনাপোল কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ঘটনার সত্যতা স্বিকার করে জানান বেনাপোলের একটি সিএন্ডফ এজেন্ট বিপুল পরিমান শুল্ক ফাকি দিয়ে বন্দর থেকে পন্য পাচার করে নিয়ে যাওয়ার সময় পন্য চালানটি আটক করে জরিমানা সহ ৬৪ লাখ টাকা শুল্ক আদায় করা হয়েছে। সিএন্ডএফ এজেন্ট ও আমদানী কারকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বাংলাদেশেরপত্র/এডি/আর