Connect with us

দেশজুড়ে

বোমা হামলার শিকার মুন্সীগঞ্জের মদন চন্দ্র দের দুরবস্থা

Published

on

47রোমান হাওলাদার, মুন্সীগঞ্জ: আঠারো মাস যাবৎ পঙ্গু হয়ে জীবন যন্ত্রনায় দারিদ্রে কষাঘাতে স্কুল পড়ুয়া এক ছেলে এক মেয়ে নিয়ে দিনাতিপাত করছেন মুন্সীগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের সুদেব চন্দ্র দের ছেলে মদন চন্দ্র দে। মদন চন্দ্র দে পেশায় একজন পাটি তৈরীর কারিগর। পা হারিয়ে দুরবস্থা যেন প্রতিদিনের সংঙ্গি এখন। মদন চন্দ্র এই দুই পা ভর করে কাধে নিজের তৈরী পাটি নিয়ে জেলায় জেলায় পাটি বিক্রি করে সংসার চালাতেন। স্বপ্ন দেখতেন ছেলে মেয়েকে পড়া লেখা করিয়ে দারিদ্রের কষাঘাত থেকে মুক্তি লাভ করবেন।
কিন্তু বিধাতার নির্মম পরিহাস যা ভবিতব্য তাই ২০১৫ সালের ৭ জানুয়ারী পাটি তৈরীর বেতী আনার জন্য ঢাকা থেকে বাসে করে সিলেট জেলার গোয়াইন ঘাটের উদ্দেশ্যে রওনা হলে ভৈরব থেকে কিছু দূর হরিপুর বা গৌরীপুর স্টেশনের সামনে যেতেই রাত আনুমানিক দেড়টার সময় একটি হাত বোমা বাসে বিস্ফোরিত হলে তিনি জ্ঞান হারান।
পঙ্গু মদন চন্দ্র দে বলেন, জ্ঞান ফিরলে আমি দেখি হাসপাতালের বিছানায় আমি শুয়ে আছি । একজন নার্সকে কোথায় আছি জিজ্ঞাসা করলেই সে বলে ওঠে আপনি তিন দিন যাবৎ এই ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে আছেন।কিছু ক্ষন পরে লক্ষ করালাম আমার ডান পা টি ব্যান্ডেজ করা কিছু অংশ নেই, আমি কাদতে লাগলাম। তখন বাসে বোমা আওয়াজের কথা ভাবলাম আর কিছুই মনে করতে পারলাম না। আমার এক ছেলে এক মেয়ে ইছাপুরা মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াশুনা করে এখন আমি তাদের পড়াশুনার খরচ, নিজের চিকিৎসার খরচ ও সংসারের খরচ কিছুতেই জোগার করতে পারছি না।আমি একজন পঙ্গু অসহায়। অর্থ সম্পদ যা ছিল তা চিকিৎসাতেই শেষ করে ফেলেছি। সমাজকল্যান সংস্থা, সমাজসেবা দপ্তর, ক্লাব, সমাজের বিত্তবান লোকদের নিকট আকুল আবেদন আমার ছেলে-মেয়েদের পড়াশুনা এবং আমাকে আমার পরিবারকে সার্বিক সাহায্য সহযোগিতা করলে এই কঠিন পৃথিবীর কঠিন বাস্তবতাকে সমলাতে পারবো। নয়তো মৃত্যু আমায় কেড়ে নিলে অসহায় এই পরিবারটি সমাজের ভিক্ষুকের সংখ্যা বাড়াবে।
এ ব্যাপারে ইছাপুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল মতিন হাওলাদার বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ হতে সরকারী ভাবে যা দেয়া সম্ভব আমরা দিয়েছি এবং ভবিষতেও দেব। সরকারের বিভিন্ন দপ্তরসহ সাহায্য সংস্থা ও সমাজের, দেশের বিত্তবানরা যদি একটু সহযোগিতা সাহায্য করেন তাহলে পঙ্গু মদন চন্দ্র দে ও তার পরিবার পরিজন নিয়ে বেচে থাকতে পরে। লেখাপড়া করতে পারে তার ছেলে মেয়ে। সিরাজদিখান উপজেলা নির্বার্হী কর্মকর্তা বলেন, উপজেলা সমাজসেবা অফিসে লিখিত আবেদন করলে বিষটি আমরা দেখব, অসহায় মদন চন্দ্র দেকে সাহায্য করার চেষ্টা করবো।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *