দেশজুড়ে
ভাঙ্গায় আ.লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৬০, ভাংচুর ও লুটপাট
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত দফায় দফায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় ঘটনাস্থল থেকে জড়িত ৭ জনকে আটক করে পুলিশ। এ ঘটনায় থানায় কোন পক্ষের মামলা হয়নি।
এলাকাবাসী জানায়, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ রাজ্জাক ফকির গ্রুপ ও পৌর আ.লীগের সহ-সভাপতি সাবেক কাউন্সিলর মোঃ ইমদাদুল হক বাচ্চু গ্রুপের সঙ্গে পূর্ব থেকে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে প্রতি নিয়ত সংঘর্ষ বাধে। তার জের ধরে সোমবার চা খাওয়া নিয়ে জাকির মুন্সিকে মারধর করলে পরিস্থিতি চরম উত্তপ্ত হয়। এ নিয়ে উভয় গ্রুপ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র ঢাল,সড়কি,টেটা,ছেন,রামদা,ইট পাটকেল নিয়ে ব্যাপক ধাওয়া, পাল্টা ধাওয়া ও ঘর বাড়ী ভাংচুর সহ এলাকা বিরান ভুমিতে পরিনত হয়। সংঘর্ষ এলাকায় রনক্ষেত্রে পরিনত হয়।
খবর পেয়ে এ এসপি (সার্কেল) মো. শামছুল হক ও ওসি মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে অন্য থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ নিয়ে ব্যাপক লাঠিচার্জ ও রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন। বর্তমান এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। ফের সংঘর্ষ ও ভাংচুর ঠেকাতে মোড়ে মোড়ে অতিরিক্ত ব্যাপক সংখক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
এ ব্যাপারে ওসি মো. মিজানুর রহমান জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে এবং কত রাউন্ড রাবার বুলেট খোয়া গেছে সে ব্যাপারে আমাদের টিম একত্র না হওয়া পর্যন্ত হিসাব করা যাচ্ছেনা।
এ ব্যাপারে এক পক্ষের দলনেতা রাজ্জাক ফকির বলেন,আমার লোকজনকে একা পেলেই বাচ্চু মেম্বারের লোকজন মারধরসহ ঘরদরজা ভেঙ্গে অমানুষিক নির্যাতন করে।
এদিকে ইমদাদুল হক বাচ্চু কাউন্সিলর বলেন, দশ বছরের সাজা প্রাপ্ত ডাকাতি মামলার আসামীদের দিয়ে এলাকার নিরীহ মানুষের উপর জুলুম, অত্যাচার করে রাজ্জাক ফকিরের লোকেরা । তার প্রতিবাদ করলেই আক্রমণ করে আমাদের উপর।