দেশজুড়ে
মাতৃগর্ভে গুলিবিদ্ধ সুরাইয়াকে মায়ের নিকট হস্তান্তর
সুরাইয়াকে মায়ের কোলে হস্তান্তর করেন শিশু সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. কানিজ হাসিনা শিউলী। এসময় উপস্থিত ছিলেন ঢামেকের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মিজানুর রহমান, নবজাতক বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. আবিদ হোসেন মোল্লা, শিশু সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ডা. আবদুল হানিফ টাবলুসহ অন্য চিকিৎসারা। আদরের সন্তানকে কোলে তুলে দিতেই আনন্দে-আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন নাজমা বেগম। জল ছলছল করে উঠে তার চোখে।
সুরাইয়াকে তার মায়ের কোলে তুলে দেওয়ার পর ঢামেক পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মিজানুর রহমান বলেন, এখন ভিজিটর (পরিদর্শক) কমাতে হবে। ভিজিটর বেশি হলে শিশুটির ইনফেকশনের শঙ্কা বাড়বে।
অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে আবেগ ঝরে সুরাইয়ার তত্ত্বাবধায়ক ঢামেকের সহযোগী অধ্যাপক ডা. কানিজ হাসিনা শিউলীর কণ্ঠ থেকেও।
তিনি বলেন, জীবনে প্রথম মায়ের পেটে গুলিবিদ্ধ শিশুকে চিকিৎসা দিতে হয়েছে। শিশুটিকে পাওয়ার পর আল্লাহর কাছে দোয়া করেছি, আল্লাহ যেন আমার শক্তি-সামর্থ্য বাড়িয়ে দেন। আমি যেন শিশুটিকে তার মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিতে পারে। সৃষ্টিকর্তা আমাদের কথা শুনেছেন। সবার প্রচেষ্টায় সুরাইয়াকে তার মায়ের কোলে তুলে দিলাম।
সুরাইয়ার স্বাস্থ্য ক্রমশ উন্নতির দিকে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ক্রমে ওর ওজন বাড়ছে, রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা স্বাভাবিক। আল্লাহর সহায়ে শিশুটি এখন আশঙ্কামুক্ত বলা চলে।
হাসপাতাল থেকে ছাড় দেওয়ার বিষয়ে ডা. কানিজ হাসিনা শিউলী বলেন, ওকে মায়ের কোলে তুলে দিয়েছি। এখন আমরা দুই দিন পর্যবেক্ষণ করবো। এরপর ওর চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড বৈঠক করবে। বৈঠকে পর্যবেক্ষণ নিয়ে আলাপের পর ছাড়পত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত হবে।