দেশজুড়ে
”মা টাকা দাও, নাহয় ইয়াবা দাও”
রুবেল হোসেন, লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরে ২২ বছরের যুবক রিমন ইয়াবা ট্যাবলেট সেবনের জন্য প্রায় ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর করতো। মা-বাবাকে লাঞ্চিত করে বিভিন্ন সময় টাকা হাতিয়ে নিয়ে ইয়াবা ও মাদক সেবক করতো। এবং বলতো মা টাকা দাও, নাহয় ইয়াবা দাও
তবে বৃহস্পতিবার রিমন বাবা মাকে মারধর এবং টানা হেছড়া করে হাসপাতালে নেওয়ার জন্য। মায়ের কাছে তার বায়না হাসপাতাল চলো রক্ত ও কিডনি বেঁচে ইয়াবা খাবো। “হয় ইয়াবা কেনার টাকা দাও” না হয় কিডনি বেঁচতে হাসপাতালে চলো।
এ বিষয়ে রিমনের বাবা মাদকাসক্ত ছেলের কর্মকান্ডে অতিষ্ঠ্য হয়ে পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল খায়ের স্বপনের মাধ্যমে সদর উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
মাদকাসক্ত রিমন লক্ষ্মীপুুর সদর পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড বাঞ্চানগর গ্রামের সোনালী কলোনি ছাকায়েত সাহেব বাড়ির মোহাম্মদ শাহজাহানের ছেলে।
রিমনের বাবা শাহাজাহান বলেন, একসময় রিমন ভদ্র-শান্ত ছিল। আয়-রোজগার করত। এলাকার ছেলেদের সঙ্গে আড্ডা দিয়ে এখন সে মাদকে ডুবে গেছে। ছেলের অত্যাচার থেকে আমরা বাঁচতে চাই।
মা আয়েশা বেগম বলেন, কী ছেলে, কী হলো, ভাবতে কষ্ট লাগে। টাকা না দিলেই সে আমাদের (মা-বাবা) মারধর করে। হাসপাতালে গিয়ে কিডনি ও রক্ত বিক্রি করে টাকা দিতে আমাকে নিয়ে টানাহিঁচড়া করে।
ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল খায়ের স্বপন বলেন, রিমন মাদকাসক্ত, মাদকের টাকার জন্য প্রায় রিমন তার বাবাÑমাকে লাঞ্চিত করে। এবিষয়ে রিমনের বাবা মাদকাসক্ত ছেলের হাত থেকে বাঁচার জন্য আমার মাধ্যমে (ইউএনও) বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। এছাড়াও লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড মাদকাসক্তদের ঘাঁটিতে পরিনত হয়েছে বলে তিনি জানান।
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরুজ্জামান বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরো বলেন, বাবা মায়ের অসচেতনতার কারণেই সন্তানরা মাদকাসক্ত হয়। তাই প্রত্যেক অভিভাবকদের উচিত তাদের ছেলে মেয়েদের প্রতি কঠোর নজর রাখা।