আন্তর্জাতিক
মিয়ানমারে ১০২ বাংলাদেশিকে উদ্ধার
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মিয়ানমারের সেনাবাহিনী দেশটির দক্ষিণের একটি দ্বীপ থেকে ১শ ২ জন ‘বাংলাদেশিকে’ উদ্ধার করেছে। মঙ্গলবার দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমার এ তথ্য জানিয়েছে।
গত মে মাসের শুরুতে নিজেদের সীমান্তে অভিবাসন প্রত্যাশীদের ৩২টিরও বেশি কবরের সন্ধান পায় থাইল্যান্ড। এরা সবাই মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে জাতিগত সহিংসতার শিকার রোহিঙ্গা মুসলমান ও উন্নত জীবনের আশায় মালয়েশিয়া গমনেচ্ছু বাংলাদেশি নাগরিক। এরপরই মানবপাচারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেয় থাইল্যান্ড। একই অবস্থান নেয় ইন্দোনেশিয়া ও প্রতিবেশি মালেয়শিয়া। ওই সময় সাগর থেকে প্রায় সাড়ে তিন হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করা হয়। ওই মাসেরই শেষের দিকে আন্দামান সাগর থেকে ৭শ অভিবাসন প্রত্যাশীকে উদ্ধার করে মিয়ানমার। দেশটির কর্তৃপক্ষের দাবি এরা সবাই বাংলাদেশি। মিয়ানমার অবশ্য রাখাইন রাজ্যে সহিংসতার শিকার রোহিঙ্গাদের নিজেদের নাগরিক বলে স্বীকার করে না। তাদের দাবি এরা সবাই বাংলাদেশি।
মঙ্গলবার গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমার জানিয়েছে, থাইল্যান্ড সীমান্তের কাছাকাছি তানিনথাই দ্বীপে এক মাস ধরে ১শ ২ জন অভিবাসন প্রত্যাশী বসবাস করছিল। গত ৩০ জুন থেকে ১২ জুলাই সময়ের মধ্যে তাদের উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হওয়া এসব অভিবাসনপ্রত্যাশী সবাই পুরুষ।
সংবাদমাধ্যটির ভাষ্য, ‘ নৌবাহিনী ওই এলাকায় আরও তল্লাশি চালাচ্ছে এবং উদ্ধার হওয়া লোকজনকে তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হবে।’
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের পক্ষ থেকে মিয়ানমারে বাংলাদেশ দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান, মিয়ানমার সরকারের পক্ষ থেকে তাদের এখনও এ ব্যাপারে কিছুই জানানো হয়নি।
দূতাবাসের উপ প্রধান তারিক মোহাম্মদ বলেন, ‘ আমরা সবে গণমাধ্যম থেকে সংবাদটি পেয়েছি। পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় (মিয়ানমারের) থেকে আমরা কোন নিশ্চিত খবর পাইনি।’
সেনাবাহিনীর মালিকানাধীন দৈনিক মিয়াওয়াদ্দি জানিয়েছে, গত ৩০ জুন কর্মকর্তারা সাউং গাউক দ্বীপের উপকূল থেকে দুই মাইল দূরে এক লোককে খুঁজে পায়। পরে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে দ্বীপে অনুসন্ধান চালানো হলে সেখান থেকে অন্যদের উদ্ধার করা হয়।