Connect with us

দেশজুড়ে

মুন্সীগঞ্জে শিশু সায়মন হত্যার আসল রহস্য কি?

Published

on

BPমুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি: উপজেলা চেয়ারম্যানের পরিত্যাক্ত ভবন থেকে আলামত উদ্ধার। সিঁড়ি থেকে দোতলার রুম পর্যন্ত রক্তের দাগ এখনো শুকায়নি। কি ভুল করেছিল শিশু সায়মন? যার বয়স মাত্র ৪ পেরিয়ে পাঁচে পা দিয়েছে। এখনো স্কুলের গন্ডিতে যায়নি। ফুটফুটে একটি ছোট শিশু সায়মন। বাবা-মা ৩ ভাই ১ বোনের মধ্যে সবার ছোট। ভাই বোনের খুব আদরের ছোট ভাই ছিল সে। আদরের সোনামনির শোকে মা বাকরুদ্ধ, চোখের জলও শুকিয়ে গেছে তার।
মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার পূর্ব কুমারভোগ পুনর্বাসন কেন্দ্রের মো: আতাউর রহমানের ছোট ছেলে সায়মন। গত ২৮ ফেব্রæয়ারী রবিবার বিকাল ৫ টায় সে নিখোঁজ হয়। সায়মনকে অনেক খোঁজাখোজির পর না পেয়ে দেয়ালে দেয়ালে হারানো বিজ্ঞপ্তী লাগানো হলেও তাকে খুজে পায়নি সায়মনের পিতা-মাতা। ২ মার্চ দুপুরে বাড়ি থেকে ২ কি.মি দুরে, কুমারভোগের গুহেরবাড়ি মাদরাসার পাশের একটি ডোবা থেকে তার লাশ উদ্ধার করে লৌহজং থানা পুলিশ। লাশ উদ্ধারের ৩ দিন পর লৌহজং উপজেলা চেয়ারম্যানের একটি পরিত্যাক্ত দোতলা ভবন থেকে শিশু সায়মনের স্যান্ডেল সহ আলামত উদ্ধার করে সায়মনের বাবা ও পুলিশ। ভবনের সিঁড়ি থেকে দোতলার রুম এর খোলা ইটে এখনো রক্তের দাগ লেগে আছে। সন্দেহ জনক দু’জনকে আটক করলেও একজনকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। সে হলো কুমারভোগ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান পাশের বাড়ির মোসলেম।
ঘটনার রহস্য অর্ধ মাসেও উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। তদন্তের স্বার্থে তারা এখন কিছু বলতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা।
এদিকে সায়মনের মেঝো ভাই জানান, আদরের ছোট ভাইকে নিয়ে তাদের অনেক আশা ছিল। তাকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে যারা, তাদের ধরে এনে যেন সরকার শাস্তির ব্যবস্থা করে, এমন শাস্তি দিতে হবে যেন এ দেশে আর কোন শিশু হত্যা না হয়।
শিশু সায়মনের বাবা মো. আতাউর রহমান বলেন, ডোবা থেকে লাশ উদ্ধারের ৩ দিন পর পরিত্যাক্ত ভবনে আলামত পাই। দুইজনকে পুলিশ আটক করে। একজনকে ছেরে দিয়েছে। কে বা কারা কি কারণে এঘটনা করল তার কোন সঠিক তথ্য এখনো পেলেন না বলে জানান তিনি।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *