Connect with us

জাতীয়

মে দিবসের অর্জন ৮৫ ভাগ মানুষের কাছে পৌঁছায়নি

Published

on

May Day

দিনমজুর, কৃষিজীবী, গৃহশ্রমিক এমন অ-প্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকদের অধিকার এখনও সুরক্ষিত নয়।

বিডিপি ডেস্ক: দিনমজুর, কৃষিজীবী, গৃহশ্রমিক এমন অ-প্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকদের অধিকার এখনও সুরক্ষিত নয়।
বিশ্বজুড়ে আজ উদযাপিত হচ্ছে মহান মে দিবস। শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের সংগ্রামের ইতিহাসে একটি তাৎপর্যপূর্ণ দিন হিসেবে পালন করা হয় পয়লা মে দিনটিকে।
কিন্তু মহান মে দিবসের মূল যে অর্জন বা চেতনা সেটি বাংলাদেশের ৮৫ ভাগ মানুষের কাছে পৌঁছায়নি। দেশে শ্রম অধিকার নিয়ে কাজ করে যেসব সংগঠন তারা এমনটাই বলছে। কারণ কৃষিকাজ, গৃহ শ্রমিক, দিনমজুরদের মত যারা অ-প্রাতিষ্ঠানিক বিভিন্ন কাজে শ্রম দিচ্ছেন, তারা সব ধরনের শ্রম আইনের বাইরে। ফলে তাদের মিলছে না কোনধরনের অধিকারই।
বাংলাদেশে শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে দীর্ঘদিন কাজ করছে বিলস। প্রতিষ্ঠানটির সহকারী নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের শ্রম আইন মূলত প্রতিষ্ঠানকে কেন্দ্র করে তেরি করা। দিনমজুর, কৃষি শ্রমিক গৃহ শ্রমিক সহ যে ব্যাপক শ্রমজীবী মানুষ আছে তাদের সুরক্ষার আসলে তেমন মানদণ্ড নেই। অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকের মজুরী বা অন্যান্য পাওনা নির্ভর কর মালিকদের ইচ্ছার ওপর। বিলসের এই কর্মকর্তা বলেন, এই মে দিবসের মূল অর্জন বা চেতনা সেটি কিন্তু বাংলাদেশের ৮৫ ভাগ মানুষের কাছে পৌঁছায়নি।
তিনি বলেন, “কোনমতেই দেশের ৮৫ভাগের মত শ্রমজীবী মানুষকে বঞ্চিত রেখে, আইনরে সুরক্ষা থেকে বাইরে রেখে তাদের মজুরির ব্যাপারটি ঠিকাদার ও মালিকদের ইচ্ছার ওপর ছেড়ে দিয়ে মে দিবস পালন করা যাবে না। দেশের উন্নয়নের যে দাবি করা হচ্ছে সেটি করাও যুক্তিসঙ্গত হবে না”।
বাংলাদেশে এমন কোনও ব্যবস্থা বিদ্যমান নেই যার মাধ্যমে একজন কৃষি শ্রমিক, দিনমজুর বা গ্রহশকি তার নিয়োগ দাতার কাছে নিজের অধিকার বা নিয়মের বিষয়ে কিছু বলতে পারে।
অথচ এই শ্রমিকেরাই অনেক কঠিন কঠিন কাজ করছে। বড় বড় ফ্লাই ওভার নির্মাণ, সেতু নির্মাণ, কৃষি কাজ, উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে তারাই বেশি অবদান রাখছে। সুতরাং তাদের জন্য কিন্তু কিছু করা কঠিন ব্যাপার নয় বলে তিনি মনে করেন।।
প্রাতিষ্ঠানিক ও অ-প্রাতিষ্ঠানিক এই দুই শ্রেণীর মধ্যে সুবিধা প্রাপ্তির পার্থক্য অনেক বেশি বলে তিনি উল্লেখ করেন।
উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, গতবছর সরকারি কর্মকর্তাদের কর্মচারীদের জন্য যে বেতন কাঠামো ঘোষণা করা হয়েছে, তার সাথে ব্যক্তিখাতে শ্রমিকদের যে মজুরি সরকার নির্ধারণ করে সেখানে অর্ধেকের চেয়েও কম মজুরি। যেমন পোশাক খাত। কোনও কোনও ক্ষেত্রে চারভাগের একভাগ মজুরি। কিন্তু অ-প্রাতিষ্ঠানিক খাতে তো মজুরি-ই নির্ধারিত নেই।
এই খাতের অনেকেই কোনও নিবন্ধন ছাড়াই কাজ করছে। তাদের শনাক্ত করা সম্ভব কি না এমন প্রশ্নে মিস্টার আহমেদ বলেন, এটা চাইলেই সম্ভব । এখন সবকিছুর নিবন্ধন চলছে। এই শ্রমিকদেরও নিবন্ধন করে অধিকার সুরক্ষার জন্য আইনের আওতায় নিয়ে আসা, বিশেষ করে তাদের জন্য একটি জাতীয় ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করা সম্ভব। এবং সেটি প্রয়োজন। সেটি সম্ভব করতে হবে।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *