Connect with us

জাতীয়

মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিতে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে : স্পিকার

Published

on

স্পিকারমানুষের মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিত করতে সকলকে একযোগে কাজ করার আহবান জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ও সিপিএ নির্বাহী কমিটির চেয়ারপার্সন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশের মানুষের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তি নিশ্চিত করা। তাই মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য দারিদ্র্য বিমোচন, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ অন্যান্য সকল মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিতকরণে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে।’

তিনি আজ রবিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের দ্বিতীয় পঞ্চবার্ষিক কৌশলগত পরিকল্পনা (২০১৬-২০২০) বিষয়ে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা করছিলেন।

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, ভারতের জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্য বিচারপতি শ্রী দারমার মুরুগেসান, নেপালের জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্য বিচারপতি প্রকাশ চন্দ্র শর্মা অস্তি ও বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক রবার্ট ডি. ওয়াটকিনস। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পূর্ণকালীন সদস্য কাজী রেজাউল হক অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন।

স্পিকার বলেন, মানব মর্যাদা সমুন্নত রাখতে মানবাধিকার রক্ষা করে একটি শোষণহীন, বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ও সরকারকে একযোগে কাজ করতে হবে।

তিনি বলেন, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে শুধুমাত্র কৌশলগত পরিকল্পণা প্রণয়ন করলেই চলবেনা, মানবাধিকার রক্ষায় এ সকল পরিকল্পণা বাস্তবায়নে সরকারকে বাস্তবধর্মী পরামর্শ প্রদান করতে হবে।

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, সহস্রব্দের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি) অর্জনে বাংলাদেশ নারীর ক্ষমতায়ন, শিশু মৃত্যু ও মাতৃমৃত্যু হার হ্রাস, দারিদ্রতা হ্রাস, জেন্ডার সমতা, খাদ্য নিরাপত্তা এসব ক্ষেত্রে বিশ্বে অনন্য স্থান অর্জন করে নিয়েছে। এই অর্জনকে ধরে রাখতে হলে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে।

তিনি বলেন, সরকারের গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগের ফলে বাংলাদেশ এখন নিম্ন মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয় এবং ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত দেশের পর্যায়ে পৌছবে।

মেহের আফরোজ চুমকি বলেন, সাম্প্রতিক শিশু হত্যার ঘটনায় সরকার তড়িৎ ব্যবস্থা নিয়ে অপরাধীদের গ্রেফতার করেছে এবং দ্রুত এসব হত্যা মামলার রায় দেয়ার মাধ্যমে হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করবে।

তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালে সপরিবারে বঙ্গবন্ধ হত্যাকান্ড ছিল বিশ্বের সবচেয়ে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘন। ওই হত্যার বিচার রহিতকরণের মাধ্যমে এদেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতি চালু হয়েছিল। সরকার ওই অবস্থা থেকে উঠে এসে দেশে মানবাধিকার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে। তিনি বলেন, বাল্য বিবাহ রোধে মেয়েদের বিয়ের বিদ্যমান বয়স ১৮ বছরই রাখা হবে।

শাহরিয়ার আলম বলেন, বাংলাদেশে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার ও একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের মধ্য দিয়ে এদেশে মানবাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

ড. মিজানুর রহমান সীমান্ত হত্যা বন্ধ এবং বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) কর্তৃক ফেলানী হত্যার ন্যায় বিচার প্রাপ্তিতে ভারতের জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে উদ্যোগ গ্রহণের দাবি জানান।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *