Connect with us

জাতীয়

যুদ্ধাপরাধী পাকিস্তানি সেনাদের তালিকা প্রকাশ

Published

on

mmmআন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ গণ বিচার আন্দোলন যুদ্ধাপরাধী পাকিস্তানী ২০১ জন সেনা কর্মকর্তা ও সদস্যের নামের তালিকা প্রকাশ করেছে। তালিকায় যুদ্ধাপরাধী পাকিস্তানীদের নাম, পদবী ও ব্যক্তিগত পরিচিতিও প্রকাশ করা হয়। আজ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তালিকা প্রকাশ করেন আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ গণবিচার আন্দোলনের আহবায়ক ও নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান।
‘যুদ্ধাপরাধী পাক সেনা সদস্য ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে নারী ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ, বাঙ্গালি হত্যা ও মানবতাবিরোধী কর্মকান্ডে অভিযুক্ত’ -এ কথা ঘোষণা করে নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান বলেছেন, আমরা ইতোমধ্যে অপরাধীদের তালিকা সংগ্রহ ও তৈরি করতে গিয়ে পূর্বঘোষিত ১৯৫ জন পাক সেনা কর্মকর্তার সাথে পাকিস্তান বিমান বাহিনী ও নৌ বাহিনীর আরো ৬ জন কর্মকর্তার সন্ধান পেয়েছি। আরো সংগ্রহের কাজ চলছে।
শাজাহান খান বলেন, পাকিস্তানী সেনা সদস্যরা যারা যুদ্ধাপরাধ করেছে এর মধ্যে যুদ্ধাপরাধের মতো ঘৃণ্য, মানবেতর ঘটনাবলীর নীল নকসা প্রণয়ন ও পরিকল্পনা বাস্তবায়নে নেতৃত্ব দানের অভিযোগে অভিযুক্ত ৬৮ জন । তিনি বলেন, জেনেভা কনভেনশন সহ আন্তর্জাাতিক সকল যুদ্ধনীতি লংঘন করে সরাসরি গণহত্যা, ধর্ষণ, লুট ও অগ্নিসংযোগে অংশ নেয় ১১৮, ব্যাপক হারে গণহত্যার অংশ নেয় ১৪ জন, এই ১৪ জনের মধ্যে পাকিস্তান বিমান বাহিনীর ৩ জন এ নৌ বাহিনীর ৩ জন।
শাজাহান খান বলেন, এর মধ্যে আমাদের আন্দোলনের দাবিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পাকিস্তানী যুদ্ধাপরাধী সেনাদের বিচারের প্রাথমিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। অভিনন্দন জানাচ্ছি সেইসাথে ট্রাইব্যুনাল দ্বারা গঠিত তথ্য সংগ্রহ ও কমিটিকে আমাদের পক্ষ থেকে সাধ্য অনুযায়ী সহযোগিতা প্রদান করবো।
তিনি বলেন, আগামীকাল ৩টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে মিছিল নিয়ে স্পিকারের কাছে পাকিস্তানী সেনা যুদ্ধাপরাধীদের তালিকা ও স্মারকলিপি দেয়া হবে।
শাজাহান খান বলেন, এছাড়া আমাদের ঘোষিত দাবীগুলোর প্রেক্ষিতে সরকার আরো কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তার মধ্যে অন্যতম জামায়াত ইসলামকে নিষিদ্ধ করার পদক্ষেপ গ্রহণ, জামায়াত ইসলামকে সংগঠন হিসাবে বিচার করা এবং যুদ্ধাপরাধীদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা, ও তাদের সপরিবারে নাগরিকত্ব বাতিল করার জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ আ্যক্ট ১৯৭৩ সংশোধনের সিদ্ধান্ত নেয়। একই সাথে আরেকটি দাবী হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ, গণহত্যা, নির্যাতন ও গণ আন্দোলনের অবমাননা বা অস্বীকার করে মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব ও শহীদের অপমান করে বক্তব্য প্রদানের বিরুদ্ধে পাশ্চাত্যের ‘জেনোসাইড ডিনায়াল ল’ এর আদলে আইন প্রণয়ন করা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ল্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি আব্দুল মান্নান চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ভাইস চেয়ারম্যান ইসমত কাদির গামা, মহাসচিব এমদাদ হোসেন, বিদ্যুৎ শ্রমিক লীগের আলাউদ্দিন মিয়া, শ্রমিক নেতা এ জেড কামরুল আনাম, চলচ্চিত্র পরিচালক কাজী হায়াত, অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচী প্রমূথ।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *