Connect with us

জাতীয়

যে কারণে বিদেশিদের প্রতি ক্ষুব্ধ ছিল জঙ্গিরা

Published

on

gulshan_terrorist_collage_studentগুলশানের রেস্টুরেন্টে হামলাকারীরা ক্ষুব্ধ ছিলেন সেখানে থাকা বিদেশি নারীদের পোশাক নিয়ে। তারা বিদেশিদের মদ্যপান নিয়েও বিদ্বেষমূলক কথাবার্তা বলেন সে সময়। একজন প্রত্যক্ষদর্শীকে উদ্ধৃত করে মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমস এসব কথা জানিয়েছে।
নিউ ইয়র্ক টাইমসকে নিজের অভিজ্ঞতার বর্ণনা দেওয়া সেই প্রত্যক্ষদর্শীর নাম দিয়েগো রসিনি। জাতিতে তিনি একজন আর্জেন্টাইন। হামলা হওয়া রেস্টুরেন্টের রাঁধুনী ছিলেন তিনি।
রসিনি নিউ ইয়র্ক টাইমসকে জানান, সন্ধ্যার পর রেস্টুরেন্টের পরিবেশ ছিল শান্ত ও মন্থর। অল্প কিছু অতিথিই উপস্থিত ছিলেন। এক টেবিলে বসেছিলেন সাতজন ইটালিয়ান বন্ধু, পাশের একটি টেবিলে আরও তিন/চার জন। রাত সাড়ে নয়টা নাগাদ বেশ কিছু অতিথির আসার কথা ছিল। তাদের ফরমাশ অনুযায়ী খাবার তৈরি করছিলেন রসিনি।
কিন্তু রাত ৮:৪৫ নাগাদ কাঁধে ভারী ব্যাগ নিয়ে রেস্টুরেন্টে প্রবেশ করে ছয় সাত জন তরুণ। রসিনি জানান, তারা ‘আল্লাহু আকবর’ ধ্বনি দিয়ে আক্রমণ শুরু করে। রসিনি আত্মরক্ষা করতে ভবনের ছাদে পালিয়ে থাকেন ও পরে ছাদ থেকে লাফ দিয়ে পাশের বাড়ির ছাদে যেতে গিয়ে গুরুতর আহত হন। রসিনি বলেন, ‘তারা নির্দিষ্টভাবে বিদেশিদেরই খুঁজছিল।’
রসিনি জানান, বাংলাদেশিদের না মারার আশ্বাস দেওয়ার পর জঙ্গিদের একজন যৎসামান্য পোশাক ও মদ্যপানের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বিদেশিদের প্রতি বিদ্বেষ প্রকাশ করে বলেন, ‘তারা তাদের জীবন-যাপন পদ্ধতি দিয়ে আমাদের দেশের মানুষকে প্রভাবিত করছে।’
উল্লেখ্য, শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার অভিজাত এলাকা গুলশানের হলি আর্টিজানে হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। গুলশান-২ এর ৭৯ নম্বর সড়কের এই রেস্তোরাঁয় সন্ত্রাসীদের সঙ্গে পুলিশের গোলাগুলির ঘটনায় ডিবির সহকারী (এসি) রবিউল ইসলাম ও বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাহউদ্দিন নিহত হন। শনিবার সকালে রেস্টুরেন্টটিতে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ছয় জঙ্গি নিহত হন।
সেনাবাহিনীর মিলিটারি অপারেশন্সের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাঈম আশফাক চৌধুরী প্রেস ব্রিফিয়েং জানান, রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে পরিচালিত ‘অপারেশন থান্ডার বোল্ট’ এর সময় ২০টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের সবাই বিদেশি। অভিযানের আগেই তাদের ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে হত্যা করা হয়। সূত্র: নিউ ইয়র্ক টাইমস, সিএনএন।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *