হাসান আল সাকিব,রংপুর: হিমালয়ের বরফচূড়া থেকে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে শীতবুড়ির হিম শীতল নিঃশ্বাস। দীর্ঘ রাতের কুয়াশার আবরণ আর সকালের শিশিরবিন্দু দেখে কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মতোই বলতে হয় ‘দুয়ারে আসিছে শীত; বরি লও তারে…।’ নানা আচার, উপহার আর বিড়ম্বনাকে সাথে নিয়ে রংপুরে কড়া নাড়ছে শীত। ষড়ঋতুর বাংলাদেশে ঋতুর ভিন্নতায় রঙঢঙ সাজসজ্জায় বিস্তর পরিবর্তন রয়েছে। তাইতো কার্তিকের রাতে শীত কুয়াশা অনুভূত হলেও দিনে কাঠ-ফাটা রোদ ও তীব্র তাপদাহ।রংপুর আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানাযায়, নভেম্বরের আগমনের সঙ্গে সঙ্গেই শীতের তীব্রতা বাড়তে শুরু করবে। রংপুরের দিগন্তজোড়া মাঠের সবুজ প্রকৃতি এখন সবুজ আর হালকা হলুদ রঙে সেজেছে। এ শোভা দেখে কৃষকের মন আনন্দে নাচছে। কারণ এই মাস কার্তিক শেষ হলেই শুরু হবে নবান্ন উৎসব। নগরজীবনে কার্তিকের চিরায়ত রূপের দেখা না মিললেও গ্রামে তা সৌন্দর্যের ডালি মেলে ধরেছে। শীত তার আগমনী বার্তা পৌঁছে দিতে শহরের আগেই গ্রামবাংলায় দূত হিসেবে পাঠিয়ে দেয়। গ্রামে শীত আসে শহরের আগে। ধানের শীষে, সবুজের ডগায়, বিন্দু বিন্দু শিশির কণা সাদা মুক্তার দানার মতো চিকচিক করে। হালকা পদ ছোঁয়ায় জমিনে আছড়ে পড়ে মুক্তার দানা। সবুজের ডগায় শুভ্র নীহারকে ছুঁয়ে দিতে কার না ভালো লাগে। গ্রামের অনেক জায়গায় শুরু হয়েছে রস সংগ্রহের জন্য আগাম খেজুর গাছ কাটার কাজ। শহরের যান্ত্রিকতার করাল গ্রাস গিলে খেয়ে নিয়েছে যদিও সেই সকালের খেজুরের রস আর পিঠপুলির উৎসব তবুও প্রকৃতির আবর্তে এক নতুন সুরব্যাঞ্জনা নিয়ে আবারও দরজায় কড়া নাড়ছে শীত। এদিকে দরজায় শীত কড়া নাড়ায় রংপুরে অনেকেই আট থেকে নয় মাস বস্তাবন্দি হয়ে থাকা লেপ-কম্বল রোদে দিয়ে শীতে ব্যবহারের জন্য তৈরি করছেন। শীত শুরুর আগেই জেলার হাটবাজারে উঠতে শুরু করেছে শীতের হরেকরকম শাক-সবজি। বিশেষ করে ফুলকপি, বাঁধাকপি, মূলা, ওলকপি, মটরশুঁটি, পালং শাক ইত্যাদি। বিিডিপত্র/আমিরুল