দেশজুড়ে
রংপুর-ঢাকা মহাসড়কের বেহাল দশা, যান চলাচলে চরম দূর্ভোগ
রংপুর প্রতিনিধি: ঢাকা রংপুর মহাসড়কের দিনাজপুর অংশের বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হয়েছে ও বড় বড় গর্ত । এসব গর্তের কারণে একদিকে যেমন নেমে এসেছে চরম দুর্ভোগ অন্যদিকে ঘটে চলেছে দুর্ঘটনাও। সড়ক ও জনপথ বিভাগ ইট বালু ও খোয়া ফেলে সংস্কারের চেষ্টা চালালেও আবারও বৃষ্টির পানিতে ধুয়ে মুছে আগের অবস্থায় ফিরে আসছে। যাত্রী ও চালকরা বলছেন, ঈদের আগে স্থায়ীভাবে সংস্কার করা না হলে পরিস্থিতি চরম আকার ধারণ করবে।
সরেজমিনে দেখা যায়, রংপুর-ঢাকা মহাসড়কের আশি কিলোমিটার জুড়ে সৃষ্টি হয়েছে খানা খন্দের। আর এ সড়কেই প্রতিদিন চলছে শতশত ভারী যানবাহন। আর কিছুদিন পরেই ঈদকে সামনে রেখে শুরু হবে ঘরফেরা মানুষের চাপ। ব্যস্ত হয়ে পড়বে এ মহাসড়ক। কিন্তু সড়কের এই বেহাল দশায় এখনই বিকল হয়ে যাচ্ছে গাড়ির যন্ত্রপাতি। এতে চিন্তিত চালক যাত্রী উভয়ই।
ভুক্তভোগী চালক ও যাত্রীরা জানান, রংপুরের মডার্ন মোড় থেকে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ পর্যন্ত ৭৫ কিলোমিটার অংশজুড়ে সড়কটির বেশিরভাগ জায়গায় শুধুই খানা খন্দক আর গর্ত। তবুও ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন। এতে পরিবহনের ক্ষতির পাশাপাশি প্রতিনিয়তই হচ্ছে যানজট।
চালকরা বলছেন, সড়কের এই অবস্থার কারণে গাড়ির যন্ত্রাংশ নষ্ট হচ্ছে। রাস্তার মাঝেই বিকল হয়ে পড়ছে। এতে দুর্ঘটনা বাড়ছে। আমরা আমাদের এবং যাত্রীদের জীবন নিয়েই শংকিত। যে কোন মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
এদিকে সড়কের এই বেহাল দশা ঠিক করতে সড়ক বিভাগ ইট বালু ও খোয়া ফেলে সংস্কারের চেষ্টা চালালেও তা বৃষ্টির পানিতে আবার নিমিষেই ধুয়ে মুছে যাচ্ছে। সড়ক বিভাগ বলছে টানা কয়েকদিন বৃষ্টির ফলে এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে তবে ঈদের আগে কয়েকদিন সময় পেলে এ অবস্থা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব।
রংপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ড. আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমাদের সকল প্রস্তুতি নেয়া আছে। আমরা সড়কের পাশে ইতিমধ্যে ইট বালু এবং খোয়া ফেলে রেখেছি। বৃষ্টি বন্ধ হলেই আমরা দ্রুত কাজ শুরু করে দেব।
বাংলাদেশেরপত্র/এডি/আর