দেশজুড়ে
রাজশাহীর জেল সুপারসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা
রাজশাহী : রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সুপার শফিকুল ইসলাম ও জেলার শাহাদাত হোসেনসহ চার জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন মীর্জা হীরা নামের এক কারারক্ষী। মঙ্গলবার (৭ জুলাই) রাজশাহীর চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের (খ অঞ্চল) আদালতে তিনি এ মামলা করেন।বৃহস্পতিবার (৯ জুলাই) দুপুরে রাজশাহী চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তদন্তের জন্য স্বাক্ষী হাজির করার নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার অন্য আসামিরা হচ্ছেন- রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের ডেপুটি জেলার মোহাম্মদ হোসেনুজ্জামান ও কারা সুবেদার আবদুল মালেক।
বাদীর অভিযোগ, ১১ জুন জরুরি প্রয়োজনে তিনি ছুটির জন্য আবেদন করেন। কিন্তু ছুটি মঞ্জুর না হওয়ায় ১২ জুন ছুটি ছাড়াই তিনি গ্রামের বাড়ি চলে যান। পরে ১৯ জুন তিনি ফিরে জানতে পারেন তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
অভিযোগে কারারক্ষী হীরা বলেন, তিনি ওইদিন বেলা ১১টা ৫৫ মিনিটে শফিকুল ইসলামের কাছে তাকে বরখাস্তের কারণ জানতে চান। এ এসময় তাকে রিজার্ভ ব্যারাকে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন চালানো হয় বলে আরজিতে উল্লেখ করেন মীর্জা হীরা।
তবে শফিকুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি নির্যাতনের বিষয়টি অস্বীকার করেন।
এক প্রশ্নের জবাবে শফিকুল ইসলাম বলেন, মীর্জা জনির বিরুদ্ধে পাবনার একটি বিভাগীয় মামলার হাজির হওয়ার তারিখ ছিল ১৬ জুন। সেখানে অনুপস্থিত থাকার উদ্দেশে সে ছুটি না নিয়েই পালিয়ে যায়। তার কোনো অবেদন কারা কর্তৃপক্ষ পায়নি। পালিয়ে যাওয়ার পর কারাবিধি অনুযায়ী এ ব্যাপারে রাজপাড়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও করা হয়। আর কেউ কর্মস্থলে না থাকলে তাকে বরখাস্ত করা যায় না। ১৯ জুন কর্মস্থলে রিপোর্ট করার পর তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
আর পালিয়ে যাওয়ার অপরাধে তার বিরুদ্ধে একটি বিভাগীয় মামলা দায়ের করা হয়। এছাড়া জেলারকে হুমকি দেওয়ার কারণে ডিআইজি প্রিজন বরাবর তাকে চাকরিচ্যুতিরও আবেদন করা হয়েছে।