ঠাকুরগাঁও
রাণীশংকৈলে মরিচ চাষে কৃষকদের স্বপ্নভগ্ন
আনোয়ার হোসেন আকাশ, রাণীশংকেল প্রতিনিধি :
ঠাকুরগাওয়ের রাণীশংকৈলে মরিচ চাষে কৃষকদের স্বপ্ন ভঙ্গ হয়েছে। ফলন বাম্পার হলেও আশা পুরণ হয়নি নায্য দাম না পেয়ে। ফসলের মাঠ এখন লাল গালিচার শোভা পাচ্ছে। দিগন্ত জুড়ে শুধু মরিচের ক্ষেত। উপজেলার উঁচু জমিগুলোতে এবার হয়েছে মরিচের বাম্পার ফলন। প্রচন্ড গরম আবার মাঝে মাঝে বৃষ্টি উপেক্ষা করে চলছে মরিচ সংগ্রহ কাজে ব্যস্ততা। কিন্তু পাচ্ছে না মরিচের নায্য মুল্য। মসলা জাতিয় ফসল মরিচের নায্য দাম না পাওয়ায় স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে কৃষকদের। গত বছর প্রতিমন শুকনা মরিচ সাড়ে ৬ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে আর এ বছর তা বিক্রী হচ্ছে মাত্র সাড়ে ৩ হাজার টাকা দামে। প্রতিমন মরিচে প্রায় ৩ হাজার টাকা কম দাম পেয়ে নিরাশ মরিচ চাষিরা। উপজেলার করনাই গ্রামের মরিচ চাষি নুরুল হক বলেন, প্রতি বিঘা জমিতে মরিচ আবাদে খরচ হয় প্রায় ২৩ হাজার টাকা। এক বিঘা জমিতে ৬ মনের বেশি শুকনা মরিচ সংগ্রহ সম্ভব নয়। বর্তমানে মরিচের বাজার মূল্য সাড়ে ৩ হাজার টাকা হিসেবে বিক্রি হওয়ায় প্রতি বিঘা মরিচ আবাদে ২ থেকে ৩ হাজার টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে। মরিচের বিখ্যাত হাট ভাউলার হাটে মরিচ বিক্রি করতে আসা অনেক কৃষক ক্ষোভ করে বলেন, ধান-গমের পর এবার হচ্ছে মরিচে লোকসান। কৃষকের যাওয়ার জায়গা কোথায়?
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মাজেদুল ইসলাম জানান, গত বছরের তুলনায় এ বছর মরিচ চাষে রোগ বালাই খুবই কম। ফসল ও ফলন ভাল হয়েছে। নায্য দাম পেলে কৃষক অনেক লাভবান হতো।