Connect with us

ঠাকুরগাঁও

রাণীশংকৈলে স্কুল মাঠে গরু ছাগলের হাট; পাঠদান ব্যাহত

Published

on

Katihar Girls High School 03রাণীশংকৈল প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার কাতিহার দবিরউদ্দীন চৌধূরী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় বন্ধ রেখে সপ্তাহে প্রতি শনিবার মাঠ জুড়ে বিশাল গরু ছাগলের হাট বসতে দেখো গেছে। সরজমিনে বিদ্যালয়ে গেলে দেখা যায় স্কুলের মাঠ জুড়ে বিশাল গরু ছাগলের হাট বসেছে। অন্যদিকে স্কুলের সমস্ত কার্যক্রম বন্ধ রেখে বিদ্যালয়ের অফিসরুম সহ বারান্দায় শত মানুষের অবস্থান। স্কুলের অফিস রুমটিও হাটের ইজারাদারের লোকজন তাদের হাট অফিস হিসেবে ব্যবহার করছে।
হাট ইজারারদার এস এম রাজার সাথে এ বিষয়ে মুঠো ফোনে কথা বললে তিনি জানান, আমি হাট ইজারা নিয়েছি আমাকে ইউএনও সাহেব যে স্থানে গরু ছাগলের হাট বসাতে বলেছে সেখানে আমি বসিয়েছি। এখানে আমার কিছু করার নাই বলেই মোবাইল সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও স্থানীয়রা জানান, একদিন হাট বসার কারণে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখায় ব্যাঘাত ঘটছে। স্কুলের পুরো মাঠ জুড়ে মযলা আর্বজনায় ভরা থাকে। স্কুলের ব্রেঞ্চে বসার মত পরিবেশ না থাকার কারনে মেয়েরা তাই স্কুলে যেতে চাই না। আমরা বিদ্যালয়ের ভাল পরিবেশ চাই, গরু ছাগলের হাট নয়। উপজেলা সদর থেকে প্রায় ৫ কি. মি. দুরে অবস্থিত এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভাল মানের পড়ালেখা চাই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শির্ক্ষাথীরা জানান, আমাদের স্যার’রা আমাদের পড়ালেখার দিকে না দেখে টাকার দিকে দেখে আমাদের বিদ্যালয় বন্ধ রাখছে। অন্যান্য বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শনিবার বিদ্যালয়ে গেলেও আমরা যেতে পারি না এতে আমাদের মনোবল ভেঙ্গে যাচ্ছে। আর বাকি ৬ দিন বিদ্যালয়ে গেলেও ময়লা আর্বজনা, আর দূগন্ধে ক্লাশ করার ইচ্ছা করে না। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তাজুল ইসলামের সাথে মুঠে ফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায় নি।
তবে সহকারী প্রধান শিক্ষক বিপ্লব এর সাথে মুঠো ফোনে কথা বললে তিনি বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সিদ্বান্ত মোতাবেক শনিবার হাটের দিন আমরা বিদ্যালয় বন্ধ রাখি।
মাধ্যমিকও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শাহরিয়ার কবির জানান, আমি এ বিষয়টি জানি না, তবে দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হাট বসে বলে আমি জানি তবে বিধি মোতাবেক বিদ্যালয় বন্ধ রেখে হাট বসাতে পারবেনা। আমি বিষয়টি দেখবো।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *