ঠাকুরগাঁও
রাণীশংকৈল খাদ্য গুদাম কার্য্যালয়টি ঝুঁকিপূর্ণ
ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল নেকমরদ খাদ্য গুদাম কার্য্যালয়টি হুমকির মূখে রয়েছে। যে কোন মুহুর্তে দূর্ঘটনা ঘটতে পারে এমনকি প্রাণ হানির মতো ঘটনা ঘটনার সম্ভাবনা রয়েছে বলে আশংকা করা হচ্ছে। উপজেলার নেকমরদ খাদ্যগুদাম কার্য্যালয়টি দির্ঘদিন থেকে ব্যবহার অযোগ্য হয়ে পড়লেও অফিসিয়াল কার্যক্রম চালিয়ে আসছেন সংশ্লিষ্টরা। জানা যায়, ব্যবহার অযোগ্য খাদ্য গুদাম কার্যালয়ের অফিস কক্ষের ছাদে ফাটল ধরেছে কয়েক বছর আগে থেকেই। ভেঙ্গে পড়ছে ছাদের ভিতরের অংশ এতে যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। কয়েকবার মেরামতের কাজ করা হলেও ঝুঁকিপূর্ণ থেকে যায় ভবনটি। কর্তৃপক্ষ গ্রহণ করছে না কার্যকরী নিরাপদ ব্যবস্থা। ১৯৭৫-৭৬ অর্থ বছরে ৭’শ মেঃ টনের একটি টিন সেট গুদাম ঘর নির্মান করা হলেও অদ্যাবধি এটির আধুনিক সম্প্রসারণ ঘটেনি। ঘটেছে কৃষির বিপ্লব, বেড়েছে উৎপাদন তবুও হয়নি গুদাম ঘরের সম্প্রসারণ। নেকমরদ খাদ্য গুদামে ৫ হাজার মেঃ টনের গুদাম ঘরের চাহিদা থাকলেও মাত্র ১ হাজার ৫’শ মেঃ টনের খাদ্য গুদাম ঘর রয়েছে। খাদ্য গুদামে জায়গা সংকুলানের কারনে ৮’শ মেঃ টন চাল বালিয়াডাঙ্গী খাদ্য গুদামে পাঠানো হয়েছে চলতি মৌসুমে। নেকমরদ খাদ্য গুদামের ধারণ ক্ষমতা ৫ হাজার মেঃ টনের অধিক বাড়ানোর জোর দাবি জানিয়েছেন ১১৫ চাল কল মিল মালিক। নেকমরদ খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা আসির উদ্দীন জানান, খাদ্য গুদামের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করা হলেও কোন কার্যকরি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি।
অপরদিকে রাণীশংকৈল খাদ্য গুদামের নিজস্ব রাস্তা না থাকায় আশংকার মধ্যে রয়েছে সংশ্লিষ্টরা। ব্যক্তি মালিকানার রাস্তাটি দিয়ে চলছে খাদ্য গুদামের যাতায়াত কার্যক্রম। যে কোন মুহুর্তে এটি বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে আশংকা করছেন কর্তৃপক্ষ। খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা নূরে রাহাদ রিমন বলেন, যে কোন মূহুর্তে মালিকানা রাস্তাটি বন্ধ হয়ে যেতে পারে এতে সরকারি কার্যক্রম ব্যাহত হবে।
উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার জানান, উপজেলার খাদ্য গুদামের সমস্যার ব্যাপারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে । সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরে অনেক বার চিঠি পাঠানো হয়েছে, কোন কাজ হচ্ছেনা ।