জাতীয়
রুপনগরে নিহত জঙ্গি জাহিদ হিযবুত তাহরীর সদস্য
শনিবার রাতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন শাখার উপ-কমিশনার মাসুদুর রহমান রুপনগরের এই নিহত জঙ্গির পরিচয় নিশ্চিত করেছেন।
জাহিদুল ইসলামের বাড়ি কুমিল্লার সদর থানার পাঁচথুবী গ্রামে। তার বাবার নাম নুরুল ইসলাম। মা জেবুন্নাহার ইসলাম। তিনি ৪৩ বাংলাদেশ মিলিটারি অ্যাকাডেমিতে বিএমএ লং কোর্সে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হয়ে ২০০০ সালের নভেম্বরে সেনাবাহিনীতে যোগ দেন।
সূত্র জানায়, জাহিদ সেনাবাহিনীতে কর্মরত থাকা অবস্থায় ধর্মীয় উগ্রবাদে জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স টেকনলজি (এমআইএসটি) তে একটি কোর্সে অধ্যয়নের সময় ঐ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক হিযবুত তাহরীর সদস্য ইশতিয়াকের সংম্পর্শে আসেন। এরপরই জাহিদ জঙ্গিবাদের দিকে ঝুঁকে পড়েন।
সেনাবাহিনীতে বিভিন্নভাবে হিযবুত তাহরীর প্রচারণা চালান। ২০১১ সালের ২০ ডিসেম্বর সেনাবাহিনীতে ব্যর্থ অভ্যুত্থান পরিচালনাকারী মেজর (চাকরিচ্যুত) সৈয়দ জিয়াউল হকের সঙ্গেও তার ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল।
সেনাবাহিনী থেকে অবসর নেয়ার পর থেকে জিয়ার সঙ্গে তিনি হিযবুত তাহরীর সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করেন। এরই মধ্যে আরেক জঙ্গি সংগঠন জেএমবির সঙ্গে হিযবুত তাহরীর যোগাযোগ হয়।
নারায়ণগঞ্জের পাইকপাড়ার অভিযান চালার সময় মেজর জাহিদ সেখান থেকে পালিয়ে যায়। এরপরই তিনি রুপনগরের ৩৩ নম্বর রোডের ৩৪ নম্বর বাড়ির ষষ্ঠ তলায় আত্মগোপণ করেন। ঘটনার দিন শুক্রবার রাতে তিনি বাসায় ফিরে আসলে বাড়ির মালিক পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ অভিযান চালানোর সময় রুপনগর থানার ওসি শহিদ আলম, পরিদর্শক (তদন্ত) শাহীন ফকির ও এসআই মমিনুল রহমান আহত হন। পরে জাহিদ নিহত হয়। তার লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।