বিবিধ
রোজায় সুস্থতা নিশ্চিত করতে…….
রকমারি ডেস্ক:
রমজান মাস পুরো বিশ্বের মুসলমানদের জন্য অনেক তাৎপর্যপূর্ণ। আর তাই জুন মাসের এই লম্বা সময়ের রোজা রাখা বেশ কষ্টকর হলেও প্রায় সকলেই নিয়ম করে রোজা পালন করেন। তবে এতো লম্বা সময়ের রোজা আমাদের দেশে রাখার অভ্যাস খুব বেশি না হওয়ার কারণে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। তবে লম্বা সময়ের জন্য হলেও রোজা রাখা কিন্তু আমাদের দেহের কোনো ক্ষতি করে না, বরং আপনার ইফতার ও সেহরিতে করা ভুলের কারণেই আপনি অসুস্থতা বোধ করতে থাকেন। কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মেনে চললেই পুরো রমজান মাস সুস্থ থাকতে পারেন অনায়েসে। তাই নিজের ও নিজের পরিবারের সুস্থতা নিশ্চিত করতে ইফতারে মেনে চলুন এই জরুরি বিষয়গুলো।
১) ইফতারে অবশ্যই খেজুর রাখবেন। সারাদিন না খাওয়ার ফলে আপনার দেহের প্রয়োজন তাৎক্ষণিক পুষ্টির যা খেজুরই দিতে পারবে। প্রয়োজনে ১ গ্লাস দুধের সাথেই খান খেজুর। এতে করে ইফতারের ভাজাপোড়া কম খাওয়া হবে।
২) তৈলাক্ত জিনিস না খেলে অনেকের ইফতারই হয় না। আলুনী, বেগুনী, পিঁয়াজু ইত্যাদি দিয়েই অনেকে ইফতার সারেন। কিন্তু এই খাবারগুলো একটু কম খাওয়ার চেষ্টা করুন। কারণ সারাদিন শেষে খালি পেটে এতো তেলে ভাজা জিনিস খেলে বদহজম হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
৩) ইফতারে অবশ্যই ফল রাখবেন। সবচাইতে ভালো হয় যদি পানি সমৃদ্ধ ফল বেশি রাখতে পারেন। এবং ইফতারে যদি ফলের সালাদ বা সাধারণ টমেটো শসার সালাদ খেতে পারেন তাহলে সুস্থ থাকবেন পুরো রমজান মাস।
৪) যদি ইফতারের পরপরই মাথা ঘুরানো বা মাথাহালকা হয়ে যাওয়ার সমস্যায় ভোগেন তাহলে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করে নিন।
৫) ইফতারে মিষ্টি জাতীয় খাবার না খাওয়া বা কম খাওয়ার চেষ্টা করুন। কারণ সারাদিন পর মিষ্টি জাতীয় খাবার হুট করে রক্তের সুগারের মাত্রা বাড়িয়ে দেবে এবং খাবার হজমে সমস্যা করবে।
৬) প্রচুর পরিমাণে পানি ও পানীয় জাতীয় খাবার পান করুন ইফতারে। সাধারণ ফলের রস ও শরবত রাখুন ইফতারে। এবং ইফতারের পর খানিকক্ষণ পরপরই পানি পান করুন। পুরো দিনের পানিশূন্যতা পুষিয়ে নিন দ্রুত। এতে দুর্বলতা অনেক কমে যাবে।
৭) অনেকের মতে রোজা রেখে মানুষের ওজন কমে, আসলে ঘটে উল্টোটা। রোজা রাখার ফলে ওজন বাড়ে। কারণ সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত অল্প সময়ে অনেক খাবার খাওয়া হয়। অল্প সময়ে অনেক খাবার খাওয়ার কারণে দেহের ওজন বেড়েই যায়। রোজার সময় প্রতিবেলা ১০-১২% কম খাওয়ার চেষ্টা করুন। ওজন ঠিক থাকবে।