Connect with us

আন্তর্জাতিক

রোহিঙ্গাদের পাচারে মিয়ানমারের কর্মকর্তারা জড়িত : যুক্তরাষ্ট্র

Published

on

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রোহিঙ্গাদের অন্য দেশে পাচার করে দেওয়ার সঙ্গে মিয়ানমার সরকারের কর্মকর্তারা জড়িত। সরকারি কর্মকর্তারা প্রধানত অর্থের লোভে এই কাজ করে থাকে।

বৃহস্পতিবার কংগ্রেসে এসব তথ্য জানায় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর। দেশ ভিত্তিক মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে করা প্রতিবেদনে মিয়ানমারের রোঙ্গিাদের প্রসঙ্গ বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর আরো জানায়, রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর অমানবিক নির্যাতন করে চলেছে মিয়ানমার সরকার। বিচারবহির্ভূত হত্যা, পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু, ধর্ষণ, খেয়ালখুশিমতো বন্দি করা, নির্যাতন এবং প্রতিনিয়ত অসদাচরণ করা হয় রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে। কারাবন্দিদের ওপর নির্যাতন চলে সবচেয়ে বেশি।

শুক্রবার ডন অনলাইনের এক খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এ ছাড়া রোহিঙ্গাদের ওপর সামাজিক ও সাংস্কৃতিক নির্যাতন চালানো হচ্ছে চরম মাত্রায়। মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশ রোহিঙ্গাদের মাতৃভূমি। কিন্তু সেখানে তাদের কোনো সামাজিক ও সাংস্কৃতি অধিকার নেই। বিয়ে করতে গেলে আগে থেকে সরকারের অনুমতি নিতে হয়, কিন্তু অন্যদের বেলায় তা লাগে না। সন্তান ধারণের জন্য অনুমতি নেওয়ার বিধান করা হয়েছ, যা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। কারণ এই ব্যবস্থা মিয়ানমারের অন্য কোথাও প্রযোজ্য নয়, শুধু রোহিঙ্গাদের জন্য।

কারাগার ও পুলিশ হেফাজতে অমানবিক নির্যাতন চালানো হয় রোহিঙ্গাদের ওপর। শিশু ও নারীদের এমন সব শাস্তি দেওয়া হয়, যা সুস্পষ্ট মানবাধিকারের লঙ্ঘন।

এদিকে রোহিঙ্গাবিরোধী বৌদ্ধ নাসাকা বাহিনী রোহিঙ্গাদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়ায় বাস্তুচ্যুত হওয়া অসংখ্য রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছে। কিন্তু সেখানেও সেই নির্যাতন। ক্যাম্প ছেড়ে যাওয়ার অনুমতি নেই। ফলে জীবিকা অর্জন, বাজার করা, চিকিৎসা নেওয়া কোনো অধিকারই ভোগ করতে পারে না রোহিঙ্গারা।

 

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *