Connect with us

আন্তর্জাতিক

রোহিঙ্গা নারীদের মিয়ানমার সেনাবাহিনীর গণধর্ষনের অভিযোগ

Published

on

rrrrrrrrমিয়ানমারের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে রাখাইন প্রদেশের রোহিঙ্গা মুসলিম নারীদের ওপর গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত সপ্তাহে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে পরিচালিত সবচেয়ে বড় দমন অভিযানের সময় এ ঘটনা ঘটে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

রাখাইন প্রদেশের প্রত্যন্ত ইউ শি কিয়া গ্রামের অধিবাসী ওই আট নারী রয়টার্সকে এক সাক্ষাৎকারে তাদের প্রতি ভয়াবহ ওই যৌন নির্যাতনের কথা বর্ণনা করেছেন। তারা বলেন, গত সপ্তাহে সরকারি সেনারা তাদের ঘর-বাড়িতে হানা দিয়ে মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করার পাশাপাশি তাদের ধর্ষণ করেছে।

রয়টার্স সরাসরি তিনজন ও টেলিফোনে পাঁচজন নারীর সাক্ষাৎকার নেয়। একই সাথে তারা মানবাধিকারকর্মী ও স্থানীয় কর্তাব্যক্তিদেরও সাক্ষাৎকার নিয়েছে। তবে ঠিক কতজন নারী সেনাবাহিনীর হাতে নির্যাতিত হয়েছেন তা জানা যায়নি।

৪০ বছর বয়সী এক রোহিঙ্গা নারী জানান, মিয়ানমারের সেনারা তিনি ও তার ১৫ বছর বয়সী মেয়েকে ধর্ষণ করে ঘর থেকে গয়না ও টাকা লুট করে।

৩২ বছর বয়সী আরেক রোহিঙ্গা নারী বার্তা সংস্থাটিকে জানান, সরকারি সেনারা তাকে গণধর্ষণ করে। ৩০ বছর বয়সী অন্য এক রোহিঙ্গা নারী জানান, সেনাদের হাতে ধর্ষণের শিকার হয়ে তিনি এখন লজ্জা ও আতঙ্কের মধ্যে আছেন।

এদিকে মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট তিন কিউয়ের মুখপাত্র জ তে ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, গ্রামটিতে বিদ্রোহীরা লুকিয়ে আছে তাই অভিযান চালানো হয়েছে, ধর্ষণের কোনো যৌক্তিকতা নেই।

অন্যদিকে দেশটির সেনাবাহিনী এ ব্যাপারে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

গত ৯ অক্টোবর থেকে রাখাইন রাজ্যের মংডু এলাকায় সেনাবাহিনীর অভিযান শুরু হয়। অজ্ঞাত হামলাকারীরা মিয়ানমারের সীমান্ত পুলিশের তিনটি ঘাঁটিতে হামলা ও লুটপাট করার পর এই অভিযান শুরু করে। মিয়ানমার সরকারের দাবি, এ ঘটনার সাথে একটি ইসলামপন্থী গোষ্ঠী জড়িত, যাদের সাথে রোহিঙ্গা মুসলমানদের সংযোগ রয়েছে। সূত্র: রয়টার্স

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *